ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মতিঝিলে বাণিজ্যিক ভবনে আগুন, উদ্ধার তৎপরতা চলছে গাইবান্ধায় বজ্রপাতে এক কৃষকের গরুর মৃত্যু দুর্নীতি কমলে দেশ দ্রুত এগোবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক এমপি মমতাজ গাজার অধিবাসীদের লিবিয়ায় স্থানান্তরের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর রোডের নতুন নাম ‘শহীদ ফারহান ফাইয়াজ’ সড়ক পুলিশের বাধার মুখে সচিবালয় অভিমুখে ইশরাক সমর্থকদের লংমার্চ উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে ‘ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক’ গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কাঁকড়া চাষের মাধ্যমে উপকূলের উন্নয়ন ও বিদেশে হচ্ছে রপ্তানি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম ও নাশকতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

গাজায় অবরোধের মাঝে ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ২৩

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪৬:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় চলমান অবরোধের মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে শিশু ও নারীও রয়েছেন। শনিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এ হামলা মানবিক সংকটকে আরও তীব্র করে তুলেছে। খবর আল জাজিরার ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ওয়াফার।

শনিবার সন্ধ্যায় মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় গৃহহীনদের একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চারজন নিহত হন। এতে আরও কয়েকজন আহত হন বলে জানায় স্থানীয়রা।

এর আগে শনিবার সকালে গাজা শহরের সাবরা এলাকায় তুলাইব পরিবারের তাঁবুতে বিমান হামলায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিহতদের এক আত্মীয় ওমর আবু আল-কাস জানান, “তাঁবুর ভেতরে তিনটি শিশু, তাদের মা ও সৎ বাবা ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎই দখলদার বাহিনীর একটি বিমান এসে বোমা ফেললে সবাই প্রাণ হারায়।”

তিনি আরও বলেন, “কোনো ধরনের সতর্কতা বা কারণ ছাড়াই এই হামলা চালানো হয়েছে।”

এছাড়া, গাজার তুফাহ এলাকায় ড্রোন হামলায় ছয়জন নিহত হন। শেখ রাদওয়ান এলাকায় জাকুত পরিবারের অ্যাপার্টমেন্টে বিমান হামলায় আরও একজন মারা যান।

দক্ষিণ গাজার রাফাহ উপকূলে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর গুলিতে মোহাম্মদ সাঈদ আল-বারদাউইল নামে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ ছাড়াও, রাফাহর পশ্চিমে আল-মাওয়াসি মানবিক অঞ্চলে আরেকটি হামলায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন বেসামরিক নাগরিক।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১২৪ জন। ক্রমাগত হামলা ও অবরোধের ফলে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

এই হামলাগুলো এমন সময়ে ঘটছে, যখন গাজা উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ, খাদ্য, ওষুধ এবং বিশুদ্ধ পানির চরম সংকটে ভুগছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই সহিংসতা বন্ধ ও অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান আরও জোরালো হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় অবরোধের মাঝে ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ২৩

আপডেট সময় ১০:৪৬:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় চলমান অবরোধের মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে শিশু ও নারীও রয়েছেন। শনিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এ হামলা মানবিক সংকটকে আরও তীব্র করে তুলেছে। খবর আল জাজিরার ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ওয়াফার।

শনিবার সন্ধ্যায় মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় গৃহহীনদের একটি তাঁবুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চারজন নিহত হন। এতে আরও কয়েকজন আহত হন বলে জানায় স্থানীয়রা।

এর আগে শনিবার সকালে গাজা শহরের সাবরা এলাকায় তুলাইব পরিবারের তাঁবুতে বিমান হামলায় একই পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিহতদের এক আত্মীয় ওমর আবু আল-কাস জানান, “তাঁবুর ভেতরে তিনটি শিশু, তাদের মা ও সৎ বাবা ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎই দখলদার বাহিনীর একটি বিমান এসে বোমা ফেললে সবাই প্রাণ হারায়।”

তিনি আরও বলেন, “কোনো ধরনের সতর্কতা বা কারণ ছাড়াই এই হামলা চালানো হয়েছে।”

এছাড়া, গাজার তুফাহ এলাকায় ড্রোন হামলায় ছয়জন নিহত হন। শেখ রাদওয়ান এলাকায় জাকুত পরিবারের অ্যাপার্টমেন্টে বিমান হামলায় আরও একজন মারা যান।

দক্ষিণ গাজার রাফাহ উপকূলে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর গুলিতে মোহাম্মদ সাঈদ আল-বারদাউইল নামে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ ছাড়াও, রাফাহর পশ্চিমে আল-মাওয়াসি মানবিক অঞ্চলে আরেকটি হামলায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন বেসামরিক নাগরিক।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১২৪ জন। ক্রমাগত হামলা ও অবরোধের ফলে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

এই হামলাগুলো এমন সময়ে ঘটছে, যখন গাজা উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ, খাদ্য, ওষুধ এবং বিশুদ্ধ পানির চরম সংকটে ভুগছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই সহিংসতা বন্ধ ও অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান আরও জোরালো হচ্ছে।