পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের ড্রোন হামলা, কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ

- আপডেট সময় ১১:১০:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
- / 15
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাল্টা অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিঁদুরে’র প্রতিক্রিয়ায় তারা শুরু করেছে ‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামের সামরিক অভিযান। এই অভিযানের আওতায় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ড্রোন পাঠানো হয়েছে।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পাকিস্তান নতুন করে ভারতের ২৬টি স্থানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে শুরু করে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাট পর্যন্ত বিস্তৃত এই হামলা।
বিবিসি সূত্রে জানা গেছে, কাশ্মীরের শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছে পরপর পাঁচটি বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণগুলো মাত্র বিশ মিনিটের ব্যবধানে ঘটে। যদিও এখনো ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।
এছাড়া উধমপুর ও পাঞ্জাবের পাঠানকোট এলাকাতেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এসব অঞ্চল ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা স্থাপনার জন্য পরিচিত। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এসব হামলায় ভারতের আধুনিক এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।
পাশাপাশি, ভারতীয় ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও একাধিক সরকারি ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালানোর দাবি করেছে পাকিস্তানি হ্যাকাররা। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড’-এর ওয়েবসাইটে হামলা চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে। এতে করে রাজ্যের কিছু অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে বলে জিও টিভি জানিয়েছে।
এছাড়াও, পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতের বাথিন্ডা ও সিরসা বিমানঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে এবং রাজৌরিতে সামরিক গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে। পাকিস্তানের বিমানবাহিনী ভারতের একটি সামরিক স্যাটেলাইট আটকে দিয়েছে বলেও দাবি করেছে, যেটি বর্তমানে অকার্যকর রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারতের বিমান হামলায় রাওয়ালপিন্ডি, চাকওয়াল ও শোরকোটের বিমানঘাঁটিতে হামলা হয়। তবে এসব হামলা সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে এবং কোনো বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে জানায় ইসলামাবাদ।
এই পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সীমান্ত পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।