০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের কড়া পদক্ষেপ, পাঠানো হলো কারাগারে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা নির্দেশনা দিল মাউশি

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আকাশপথে সতর্কতা, সীমান্তে বিমান চলাচল স্থগিত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / 86

ছবি: সংগৃহীত

 

ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরসহ একাধিক এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এর জেরে পাকিস্তান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে দেশের সব ধরনের বিমান চলাচল।

পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAA) জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য দেশের সব বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে। এর ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোও উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যে ফ্লাইট বাতিল করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছে যে, জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, যোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চন্ডিগড় এবং রাজকোট থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত তাদের সব ফ্লাইট বাতিল থাকবে।

পাঞ্জাবের অমৃতসরগামী দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে।

এছাড়া ভারতের বেসরকারি বিমান সংস্থা স্পাইসজেট জানিয়েছে, উত্তর ভারতের ধরমশালা, লেহ, জম্মু, শ্রীনগর এবং অমৃতসর বিমানবন্দরগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকায় তাদের ফ্লাইট সূচিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই সাম্প্রতিক উত্তেজনা আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। দু’দেশের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের আক্রমণ ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া কেবল দুই দেশের মধ্যে নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতাকেই হুমকির মুখে ফেলতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদও দিয়েছেন তারা।

এখনো পর্যন্ত উভয় দেশের পক্ষ থেকে শান্তি স্থাপনে কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ দেখা যায়নি। তবে বিমান চলাচলে এ ধরনের বাধা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পরিস্থিতির আপডেট জানাতে ভারত ও পাকিস্তানের সরকারিভাবে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আকাশপথে সতর্কতা, সীমান্তে বিমান চলাচল স্থগিত

আপডেট সময় ১১:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

 

ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরসহ একাধিক এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এর জেরে পাকিস্তান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে দেশের সব ধরনের বিমান চলাচল।

পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAA) জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য দেশের সব বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে। এর ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোও উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যে ফ্লাইট বাতিল করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া ঘোষণা করেছে যে, জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, যোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চন্ডিগড় এবং রাজকোট থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত তাদের সব ফ্লাইট বাতিল থাকবে।

পাঞ্জাবের অমৃতসরগামী দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লিতে।

এছাড়া ভারতের বেসরকারি বিমান সংস্থা স্পাইসজেট জানিয়েছে, উত্তর ভারতের ধরমশালা, লেহ, জম্মু, শ্রীনগর এবং অমৃতসর বিমানবন্দরগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকায় তাদের ফ্লাইট সূচিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই সাম্প্রতিক উত্তেজনা আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। দু’দেশের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের আক্রমণ ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া কেবল দুই দেশের মধ্যে নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতাকেই হুমকির মুখে ফেলতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদও দিয়েছেন তারা।

এখনো পর্যন্ত উভয় দেশের পক্ষ থেকে শান্তি স্থাপনে কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ দেখা যায়নি। তবে বিমান চলাচলে এ ধরনের বাধা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পরিস্থিতির আপডেট জানাতে ভারত ও পাকিস্তানের সরকারিভাবে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।