ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল অনুদান বন্ধ করল ট্রাম্প প্রশাসন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশনা না মানলে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়টি আর কোনো ধরনের ফেডারেল গবেষণা অনুদান বা আর্থিক সহায়তা পাবে না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্লেষকরা এই ঘটনাকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।

গত সোমবার (৫ মে) হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট ড. অ্যালান গারবারকে পাঠানো এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা মন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহন বলেন, “হার্ভার্ড যেন ভবিষ্যতে আর কোনো ফেডারেল অনুদানের আবেদন না করে, কারণ কোনো কিছুই দেওয়া হবে না।”

এই চিঠিটি মন্ত্রী নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি হার্ভার্ডকে ‘দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি উপহাস’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিদেশি শিক্ষার্থীরা সহিংস আচরণ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অবমাননাকর মনোভাব দেখাচ্ছে।

ম্যাকমাহনের বক্তব্যে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের গাজা অভিযানের বিরোধিতায় হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে যে প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়, তা সরকারের দৃষ্টিতে ‘প্রশাসনবিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

তবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট গারবার এক বিবৃতিতে বলেন, “এই ধরনের অনধিকার নির্দেশের মাধ্যমে সরকার এক নজিরবিহীনভাবে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে।”

চিঠির শেষ অংশে ম্যাকমাহন বলেন, “হার্ভার্ড এখন থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো চলবে এবং তাদের ৫৩ বিলিয়ন ডলারের তহবিল ও প্রভাবশালী প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নিজেদের পথ খুঁজে নেবে।”

এদিকে হার্ভার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক গবেষণা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষকদের উপর।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতে, এটি শুধু হার্ভার্ড নয়, গোটা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ব্যবস্থার জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এই ঘটনায় মার্কিন শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধীনতা ও সরকার হস্তক্ষেপ নিয়ে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষানীতিবিদরা।

এই পরিস্থিতিতে এখন পুরো দেশের দৃষ্টি রয়েছে হার্ভার্ড ও ট্রাম্প প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল অনুদান বন্ধ করল ট্রাম্প প্রশাসন

আপডেট সময় ০৩:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশনা না মানলে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়টি আর কোনো ধরনের ফেডারেল গবেষণা অনুদান বা আর্থিক সহায়তা পাবে না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্লেষকরা এই ঘটনাকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন।

গত সোমবার (৫ মে) হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট ড. অ্যালান গারবারকে পাঠানো এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা মন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহন বলেন, “হার্ভার্ড যেন ভবিষ্যতে আর কোনো ফেডারেল অনুদানের আবেদন না করে, কারণ কোনো কিছুই দেওয়া হবে না।”

এই চিঠিটি মন্ত্রী নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি হার্ভার্ডকে ‘দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি উপহাস’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিদেশি শিক্ষার্থীরা সহিংস আচরণ করছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অবমাননাকর মনোভাব দেখাচ্ছে।

ম্যাকমাহনের বক্তব্যে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের গাজা অভিযানের বিরোধিতায় হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে যে প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়, তা সরকারের দৃষ্টিতে ‘প্রশাসনবিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

তবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট গারবার এক বিবৃতিতে বলেন, “এই ধরনের অনধিকার নির্দেশের মাধ্যমে সরকার এক নজিরবিহীনভাবে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে।”

চিঠির শেষ অংশে ম্যাকমাহন বলেন, “হার্ভার্ড এখন থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো চলবে এবং তাদের ৫৩ বিলিয়ন ডলারের তহবিল ও প্রভাবশালী প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সহায়তায় নিজেদের পথ খুঁজে নেবে।”

এদিকে হার্ভার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা ও বিজ্ঞানবিষয়ক গবেষণা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষকদের উপর।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতে, এটি শুধু হার্ভার্ড নয়, গোটা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ব্যবস্থার জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এই ঘটনায় মার্কিন শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধীনতা ও সরকার হস্তক্ষেপ নিয়ে নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষানীতিবিদরা।

এই পরিস্থিতিতে এখন পুরো দেশের দৃষ্টি রয়েছে হার্ভার্ড ও ট্রাম্প প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।