০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

গাজায় বড় অভিযানের পথে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৯:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
  • / 84

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে আরও বড় পরিসরে সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি জানান, তীব্র এ সামরিক অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে গাজার ফিলিস্তিনিদের ‘সুরক্ষার স্বার্থে’ স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৬ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৫ মে) হিব্রু ভাষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা গাজা উপত্যকায় পরবর্তী ধাপে যাচ্ছি। গাজার ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে।” তবে গাজার ঠিক কতটুকু অংশ দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

এর আগে ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে। এই সিদ্ধান্তের পরই নেতানিয়াহু তার মন্তব্য দেন।

আল জাজিরা জানায়, ইসরাইলের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা শুধুমাত্র হামাসবিরোধী অভিযান নয়, বরং গাজার বিধ্বস্ত জনপদে ত্রাণ সরবরাহের দায়ভার গ্রহণ করাসহ উপত্যকার পূর্ণ সামরিক নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা নিউজওয়্যার জানায়, এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ‘জয়’ অর্জনের অর্থ হচ্ছে—সমগ্র গাজা উপত্যকার পূর্ণ দখল নেওয়া।

এদিকে, চলমান উত্তেজনার মধ্যে জিম্মি মুক্তির জন্য আলোচনার সম্ভাবনার কথাও উঠে এসেছে। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের পর জিম্মি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে। এই সফরকে ‘সুযোগের জানালা’ হিসেবে দেখছে ইসরাইল।

নেতানিয়াহু বলেন, “যদি কোনো জিম্মি চুক্তিতে পৌঁছানো না যায়, তাহলে ইসরাইল পূর্ণ শক্তি নিয়ে সামরিক অভিযান শুরু করবে এবং যতক্ষণ না আমাদের সব লক্ষ্য অর্জিত হয়, ততক্ষণ তা থামবে না।”

এই ঘোষণার ফলে গাজায় মানবিক সংকট আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে অঞ্চলটিতে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় বড় অভিযানের পথে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর

আপডেট সময় ১১:৫৯:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে আরও বড় পরিসরে সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি জানান, তীব্র এ সামরিক অভিযান পরিচালনার লক্ষ্যে গাজার ফিলিস্তিনিদের ‘সুরক্ষার স্বার্থে’ স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (৬ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৫ মে) হিব্রু ভাষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা গাজা উপত্যকায় পরবর্তী ধাপে যাচ্ছি। গাজার ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে।” তবে গাজার ঠিক কতটুকু অংশ দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

এর আগে ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে। এই সিদ্ধান্তের পরই নেতানিয়াহু তার মন্তব্য দেন।

আল জাজিরা জানায়, ইসরাইলের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা শুধুমাত্র হামাসবিরোধী অভিযান নয়, বরং গাজার বিধ্বস্ত জনপদে ত্রাণ সরবরাহের দায়ভার গ্রহণ করাসহ উপত্যকার পূর্ণ সামরিক নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরাইলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা নিউজওয়্যার জানায়, এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ‘জয়’ অর্জনের অর্থ হচ্ছে—সমগ্র গাজা উপত্যকার পূর্ণ দখল নেওয়া।

এদিকে, চলমান উত্তেজনার মধ্যে জিম্মি মুক্তির জন্য আলোচনার সম্ভাবনার কথাও উঠে এসেছে। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের পর জিম্মি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে। এই সফরকে ‘সুযোগের জানালা’ হিসেবে দেখছে ইসরাইল।

নেতানিয়াহু বলেন, “যদি কোনো জিম্মি চুক্তিতে পৌঁছানো না যায়, তাহলে ইসরাইল পূর্ণ শক্তি নিয়ে সামরিক অভিযান শুরু করবে এবং যতক্ষণ না আমাদের সব লক্ষ্য অর্জিত হয়, ততক্ষণ তা থামবে না।”

এই ঘোষণার ফলে গাজায় মানবিক সংকট আরও গভীর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে অঞ্চলটিতে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।