ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

শরীরে বোমা বেধে পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলার অনুমতি চাইলেন ভারতের মন্ত্রী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 17

ছবি সংগৃহীত

 

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুক হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ফের চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সীমান্তজুড়ে প্রতিদিন চলছে গোলাগুলি, আর সেই প্রেক্ষাপটেই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের আবাসন ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী জামির আহমেদ খান। তিনি বলেন, শরীরে বোমা বেঁধে পাকিস্তানে গিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালাতে প্রস্তুত তিনি।

ভারতের জাতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জামির আহমেদ বলেন, “পাকিস্তান সবসময় ভারতের শত্রু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যদি আমাকে অনুমতি দেন, আমি সীমান্তে গিয়ে যুদ্ধ করব। এমনকি আত্মঘাতী হামলার জন্য শরীরে বোমা বেঁধেও পাকিস্তানে যেতে প্রস্তুত আছি।”

তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেসের একজন মন্ত্রী হলেও, আমি প্রথমে একজন ভারতীয়, একজন হিন্দুস্তানি। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এখনই আমাদের এক হওয়ার সময়।” ভিডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং ভারতজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে এক বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানায়। তবে ইসলামাবাদ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

এ ঘটনার পর দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে গেছে। সীমান্তে চলছে থেমে থেমে গোলাগুলি, বন্ধ হয়ে গেছে কূটনৈতিক আলোচনা। ভারত সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে, পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিলের।

উভয় দেশ একে অপরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। দুই দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে অবিলম্বে নিজ দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের ব্যবসা ও বাণিজ্য কার্যক্রম।

ভারতের নির্দেশে গত ২২ এপ্রিল থেকে প্রায় ৭৫০ জন পাকিস্তানি নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে নিজ দেশে ফিরে গেছেন। একই সময়ের মধ্যে পাকিস্তান থেকেও ফিরেছেন প্রায় এক হাজার ভারতীয় নাগরিক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য উদ্বেগজনক। শান্তিপূর্ণ সমাধানে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

শরীরে বোমা বেধে পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলার অনুমতি চাইলেন ভারতের মন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুক হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ফের চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সীমান্তজুড়ে প্রতিদিন চলছে গোলাগুলি, আর সেই প্রেক্ষাপটেই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের আবাসন ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী জামির আহমেদ খান। তিনি বলেন, শরীরে বোমা বেঁধে পাকিস্তানে গিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালাতে প্রস্তুত তিনি।

ভারতের জাতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জামির আহমেদ বলেন, “পাকিস্তান সবসময় ভারতের শত্রু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যদি আমাকে অনুমতি দেন, আমি সীমান্তে গিয়ে যুদ্ধ করব। এমনকি আত্মঘাতী হামলার জন্য শরীরে বোমা বেঁধেও পাকিস্তানে যেতে প্রস্তুত আছি।”

তিনি বলেন, “আমি কংগ্রেসের একজন মন্ত্রী হলেও, আমি প্রথমে একজন ভারতীয়, একজন হিন্দুস্তানি। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এখনই আমাদের এক হওয়ার সময়।” ভিডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এবং ভারতজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে এক বন্দুক হামলায় ২৬ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানায়। তবে ইসলামাবাদ সেই অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

এ ঘটনার পর দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে গেছে। সীমান্তে চলছে থেমে থেমে গোলাগুলি, বন্ধ হয়ে গেছে কূটনৈতিক আলোচনা। ভারত সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে, পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বাতিলের।

উভয় দেশ একে অপরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। দুই দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে অবিলম্বে নিজ দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের ব্যবসা ও বাণিজ্য কার্যক্রম।

ভারতের নির্দেশে গত ২২ এপ্রিল থেকে প্রায় ৭৫০ জন পাকিস্তানি নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে নিজ দেশে ফিরে গেছেন। একই সময়ের মধ্যে পাকিস্তান থেকেও ফিরেছেন প্রায় এক হাজার ভারতীয় নাগরিক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য উদ্বেগজনক। শান্তিপূর্ণ সমাধানে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।