ঢাকা ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হামাসের ক্ষমতা হ্রাসে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের নতুন কৌশল, ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণাও

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 26

 

গাজায় হামাসের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই মানবিক ত্রাণ পাঠানোর বিষয়ে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও একটি নতুন আন্তর্জাতিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা। সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত থাকা দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা এবং একটি মার্কিন সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রায় দুই মাস আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার পর থেকে ইসরায়েল সব ধরনের মানবিক সহায়তা—যেমন খাবার, পানি ও ওষুধ—প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর ফলে গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই গাজায় খাবার সম্পূর্ণ ফুরিয়ে যেতে পারে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে গাজায় বিদ্যমান খাদ্য মজুদ শেষ হয়ে যাবে।

মানবিক সহায়তা স্থগিত এবং ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন করে হামলা শুরুর ফলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ঘরছাড়া হয়ে পড়েছে। পুরো উপত্যকায় এখন চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। প্রতিদিন লুটপাটের ঘটনা ঘটছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজায় জরুরি ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে চাপ দিচ্ছেন।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতির আগে ও পরে গাজায় প্রবেশ করা ত্রাণের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে হামাস। এসব ত্রাণ বিক্রি করে সংগঠনটি মিলিয়ন ডলার আয় করেছে এবং সেই অর্থে তাদের যোদ্ধাদের বেতন দিয়েছে।

তবে হামাস কিছু ত্রাণ সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিতরণ করেছে, যার ফলে তারা গাজায় প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পেরেছে।

নতুন এই পদ্ধতির মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ শুরু হলে হামাসের অর্থনৈতিক লাভ বন্ধ হবে এবং গাজায় জনগণের মধ্যে তাদের প্রভাব কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এই নতুন প্রক্রিয়া একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি”। তার ভাষায়, এটি ইসরায়েল ও আন্তর্জাতিক ফাউন্ডেশনের মধ্যে আলোচনার ফসল, যার পেছনে ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের সক্রিয় সমর্থন ও অনুমোদন।

নিউজটি শেয়ার করুন

হামাসের ক্ষমতা হ্রাসে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের নতুন কৌশল, ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণাও

আপডেট সময় ১০:৫২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

গাজায় হামাসের নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই মানবিক ত্রাণ পাঠানোর বিষয়ে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও একটি নতুন আন্তর্জাতিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা। সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত থাকা দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা এবং একটি মার্কিন সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রায় দুই মাস আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার পর থেকে ইসরায়েল সব ধরনের মানবিক সহায়তা—যেমন খাবার, পানি ও ওষুধ—প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর ফলে গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই গাজায় খাবার সম্পূর্ণ ফুরিয়ে যেতে পারে। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে গাজায় বিদ্যমান খাদ্য মজুদ শেষ হয়ে যাবে।

মানবিক সহায়তা স্থগিত এবং ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন করে হামলা শুরুর ফলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ঘরছাড়া হয়ে পড়েছে। পুরো উপত্যকায় এখন চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। প্রতিদিন লুটপাটের ঘটনা ঘটছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গাজায় জরুরি ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে চাপ দিচ্ছেন।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের অভিযোগ, যুদ্ধবিরতির আগে ও পরে গাজায় প্রবেশ করা ত্রাণের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে হামাস। এসব ত্রাণ বিক্রি করে সংগঠনটি মিলিয়ন ডলার আয় করেছে এবং সেই অর্থে তাদের যোদ্ধাদের বেতন দিয়েছে।

তবে হামাস কিছু ত্রাণ সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিতরণ করেছে, যার ফলে তারা গাজায় প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পেরেছে।

নতুন এই পদ্ধতির মাধ্যমে ত্রাণ সরবরাহ শুরু হলে হামাসের অর্থনৈতিক লাভ বন্ধ হবে এবং গাজায় জনগণের মধ্যে তাদের প্রভাব কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এই নতুন প্রক্রিয়া একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি”। তার ভাষায়, এটি ইসরায়েল ও আন্তর্জাতিক ফাউন্ডেশনের মধ্যে আলোচনার ফসল, যার পেছনে ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের সক্রিয় সমর্থন ও অনুমোদন।