ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মন্তব্যে কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / 22

ছবি সংগৃহীত

 

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত জনসম্মুখে আলোচনায় থাকেন না। তবে সম্প্রতি কাশ্মীর বিষয়ে তার একটি বক্তব্য দেশ-বিদেশে কূটনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মুনিরের এই বক্তব্য শুধু পাকিস্তানেই নয়, ভারতসহ আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।

জেনারেল মুনির বলেন, “পাকিস্তানের অস্তিত্ব এক অতুলনীয় সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ফল। এই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের পূর্বপুরুষরা পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা কীভাবে রক্ষা করতে হয়, আমরা জানি।”

এই বক্তব্যটি তিনি দেন কাশ্মীরে এক প্রাণঘাতী হামলার কয়েক দিন আগে, যেখানে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়। যদিও সরাসরি এই মন্তব্যের সঙ্গে হামলার কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে করা হচ্ছে, বিশ্লেষকদের মতে, তার বক্তব্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাশ্মীর বিষয়ে আগ্রাসী মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে, যদিও বর্তমানে অঞ্চলটির কিছু অংশ দুই দেশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের পর থেকেই কাশ্মীর দ্বন্দ্ব দুই দেশের সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে।

জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, সরকার গঠন ও পতনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যেখানে সেনাপ্রধানদের ভূমিকা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যখন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে এবং উভয় দেশই পরমাণু অস্ত্রধারী, তখন এমন এক সেনাপ্রধানের বক্তব্য, যিনি দেশের রাজনীতি ও নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, তা আন্তর্জাতিক মহলের নজর এড়ায় না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বক্তব্য পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বার্তার পাশাপাশি ভারতের প্রতি এক শক্ত বার্তাও বহন করে, যা ভবিষ্যতের কূটনৈতিক টানাপোড়েনকে আরও ঘনীভূত করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের মন্তব্যে কূটনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন

আপডেট সময় ০২:০৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

 

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত জনসম্মুখে আলোচনায় থাকেন না। তবে সম্প্রতি কাশ্মীর বিষয়ে তার একটি বক্তব্য দেশ-বিদেশে কূটনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মুনিরের এই বক্তব্য শুধু পাকিস্তানেই নয়, ভারতসহ আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।

জেনারেল মুনির বলেন, “পাকিস্তানের অস্তিত্ব এক অতুলনীয় সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ফল। এই রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের পূর্বপুরুষরা পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা কীভাবে রক্ষা করতে হয়, আমরা জানি।”

এই বক্তব্যটি তিনি দেন কাশ্মীরে এক প্রাণঘাতী হামলার কয়েক দিন আগে, যেখানে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়। যদিও সরাসরি এই মন্তব্যের সঙ্গে হামলার কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে করা হচ্ছে, বিশ্লেষকদের মতে, তার বক্তব্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাশ্মীর বিষয়ে আগ্রাসী মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে, যদিও বর্তমানে অঞ্চলটির কিছু অংশ দুই দেশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের পর থেকেই কাশ্মীর দ্বন্দ্ব দুই দেশের সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে।

জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, সরকার গঠন ও পতনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যেখানে সেনাপ্রধানদের ভূমিকা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যখন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে এবং উভয় দেশই পরমাণু অস্ত্রধারী, তখন এমন এক সেনাপ্রধানের বক্তব্য, যিনি দেশের রাজনীতি ও নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, তা আন্তর্জাতিক মহলের নজর এড়ায় না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বক্তব্য পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বার্তার পাশাপাশি ভারতের প্রতি এক শক্ত বার্তাও বহন করে, যা ভবিষ্যতের কূটনৈতিক টানাপোড়েনকে আরও ঘনীভূত করতে পারে।