ঢাকা ১১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাংলাদেশের জন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রযোজ্য নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনার খবর ভিত্তিহীন, ইরানের কড়া প্রতিবাদ ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আইআরজিসি সদর দপ্তরে নিহত হয়েছিল ৪১ জন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৮১, ধ্বংসস্তূপে চলছে মরদেহ উদ্ধার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫ গাজায় ইসরাইলি অবরোধে অপুষ্টিতে ৬৬ শিশুর মৃত্যু জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মুরাদনগরে কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়: আসিফ মাহমুদ জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার ৬০০ সেনা নিহত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 18

ছবি: সংগৃহীত

 

উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর এবার জানা গেল ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে দেশটির প্রায় ৬০০ সেনা নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য লি সিওং-কুয়েন জানান, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৪ হাজার ৭০০ সেনা হতাহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০০ জন। আহতদের সংখ্যা কয়েক হাজার বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া সোমবার প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় নিজেদের সেনা মোতায়েনের কথা স্বীকার করে। কেসিএনএ জানায়, কুরস্ক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রিত এলাকা পুনর্দখলে মস্কোকে সহায়তা করেছে পিয়ংইয়ংয়ের সেনারা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে দুই দেশের নীরবতার পর রাশিয়াও উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

লি সিওং-কুয়েন জানান, এই বছর প্রায় ২ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেককে রাজধানী পিয়ংইয়ংসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে’ সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়া দুই ধাপে মোট ১৮ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল। তবে মার্চের পর ওই অঞ্চলে সংঘর্ষের মাত্রা কিছুটা কমেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ছয় মাসের যুদ্ধে অংশগ্রহণের পর উত্তর কোরিয়ার বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে।

অন্যদিকে, সিউল ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সহায়তার জন্য বারবার উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে আসছে। কন্টেইনারভর্তি অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সিউল দাবি করেছে, এর বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে মস্কো-পিয়ংইয়ং সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। গত বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়া সফর করেন এবং সেখানে দুই দেশের মধ্যে একটি বিস্তৃত সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার ধারা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া যে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে, তা মূলত রাশিয়ায় রপ্তানির উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে—যাতে এসব ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা যায়।

সূত্র: এএফপি

উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর এবার জানা গেল ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে দেশটির প্রায় ৬০০ সেনা নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য লি সিওং-কুয়েন জানান, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৪ হাজার ৭০০ সেনা হতাহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০০ জন। আহতদের সংখ্যা কয়েক হাজার বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া সোমবার প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় নিজেদের সেনা মোতায়েনের কথা স্বীকার করে। কেসিএনএ জানায়, কুরস্ক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রিত এলাকা পুনর্দখলে মস্কোকে সহায়তা করেছে পিয়ংইয়ংয়ের সেনারা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে দুই দেশের নীরবতার পর রাশিয়াও উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

লি সিওং-কুয়েন জানান, এই বছর প্রায় ২ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেককে রাজধানী পিয়ংইয়ংসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে’ সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়া দুই ধাপে মোট ১৮ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল। তবে মার্চের পর ওই অঞ্চলে সংঘর্ষের মাত্রা কিছুটা কমেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ছয় মাসের যুদ্ধে অংশগ্রহণের পর উত্তর কোরিয়ার বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে।

অন্যদিকে, সিউল ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সহায়তার জন্য বারবার উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে আসছে। কন্টেইনারভর্তি অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সিউল দাবি করেছে, এর বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে মস্কো-পিয়ংইয়ং সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। গত বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়া সফর করেন এবং সেখানে দুই দেশের মধ্যে একটি বিস্তৃত সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার ধারা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া যে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে, তা মূলত রাশিয়ায় রপ্তানির উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে—যাতে এসব ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা যায়।

সূত্র: এএফপি

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার ৬০০ সেনা নিহত

আপডেট সময় ০৫:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর এবার জানা গেল ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে দেশটির প্রায় ৬০০ সেনা নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য লি সিওং-কুয়েন জানান, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৪ হাজার ৭০০ সেনা হতাহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০০ জন। আহতদের সংখ্যা কয়েক হাজার বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া সোমবার প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় নিজেদের সেনা মোতায়েনের কথা স্বীকার করে। কেসিএনএ জানায়, কুরস্ক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রিত এলাকা পুনর্দখলে মস্কোকে সহায়তা করেছে পিয়ংইয়ংয়ের সেনারা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে দুই দেশের নীরবতার পর রাশিয়াও উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

লি সিওং-কুয়েন জানান, এই বছর প্রায় ২ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেককে রাজধানী পিয়ংইয়ংসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে’ সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়া দুই ধাপে মোট ১৮ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল। তবে মার্চের পর ওই অঞ্চলে সংঘর্ষের মাত্রা কিছুটা কমেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ছয় মাসের যুদ্ধে অংশগ্রহণের পর উত্তর কোরিয়ার বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে।

অন্যদিকে, সিউল ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সহায়তার জন্য বারবার উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে আসছে। কন্টেইনারভর্তি অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সিউল দাবি করেছে, এর বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে মস্কো-পিয়ংইয়ং সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। গত বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়া সফর করেন এবং সেখানে দুই দেশের মধ্যে একটি বিস্তৃত সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার ধারা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া যে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে, তা মূলত রাশিয়ায় রপ্তানির উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে—যাতে এসব ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা যায়।

সূত্র: এএফপি

উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর এবার জানা গেল ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে দেশটির প্রায় ৬০০ সেনা নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদের গোয়েন্দা কমিটির সদস্য লি সিওং-কুয়েন জানান, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৪ হাজার ৭০০ সেনা হতাহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০০ জন। আহতদের সংখ্যা কয়েক হাজার বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়া সোমবার প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় নিজেদের সেনা মোতায়েনের কথা স্বীকার করে। কেসিএনএ জানায়, কুরস্ক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রিত এলাকা পুনর্দখলে মস্কোকে সহায়তা করেছে পিয়ংইয়ংয়ের সেনারা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে দুই দেশের নীরবতার পর রাশিয়াও উত্তর কোরিয়ার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

লি সিওং-কুয়েন জানান, এই বছর প্রায় ২ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেককে রাজধানী পিয়ংইয়ংসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ‘রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে’ সহায়তা করতে উত্তর কোরিয়া দুই ধাপে মোট ১৮ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল। তবে মার্চের পর ওই অঞ্চলে সংঘর্ষের মাত্রা কিছুটা কমেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ছয় মাসের যুদ্ধে অংশগ্রহণের পর উত্তর কোরিয়ার বাহিনীর যুদ্ধ সক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে।

অন্যদিকে, সিউল ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সহায়তার জন্য বারবার উত্তর কোরিয়ার সমালোচনা করে আসছে। কন্টেইনারভর্তি অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সিউল দাবি করেছে, এর বিনিময়ে রাশিয়া উত্তর কোরিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে মস্কো-পিয়ংইয়ং সামরিক সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। গত বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়া সফর করেন এবং সেখানে দুই দেশের মধ্যে একটি বিস্তৃত সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার ধারা অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া যে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করছে, তা মূলত রাশিয়ায় রপ্তানির উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে—যাতে এসব ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা যায়।

সূত্র: এএফপি