মার্কিন গাড়ি শিল্পে স্বস্তি আনতে শুল্ক হ্রাসের পথে ট্রাম্প প্রশাসন

- আপডেট সময় ১০:২৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
- / ৪ বার পড়া হয়েছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে আমদানি যন্ত্রাংশের ওপর আরোপিত শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থানীয় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে এবং ব্যাবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, সে লক্ষ্যে নেওয়া হচ্ছে এই বিশেষ উদ্যোগ।
দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষত ফোর্ড, জেনারেল মোটরস ও স্টেলান্টিস উচ্চ আমদানি শুল্কের কারণে নানা প্রতিকূলতার মুখে পড়েছে। আমদানি করা যন্ত্রাংশের দাম বাড়ার কারণে স্থানীয়ভাবে গাড়ি উৎপাদনের খরচ বেড়ে গেছে। এর ফলে একদিকে ভোক্তাদের ওপর পড়েছে মূল্যবৃদ্ধির চাপ, অন্যদিকে কোম্পানিগুলোর মুনাফাও কমে গেছে।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি হস্তক্ষেপ করছেন। হোয়াইট হাউসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুল্ক কমানোর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনশীলতাকে আরও উৎসাহিত করা হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববাজারে মার্কিন গাড়ির প্রতিযোগিতা শক্তিকে পুনরায় জোরদার করা হবে।
নতুন এই উদ্যোগের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত গাড়িতে ব্যবহৃত আমদানি যন্ত্রাংশের ওপর বিদ্যমান শুল্ক হার পর্যালোচনা করে তা উল্লেখযোগ্য হারে কমানো হতে পারে। এতে করে গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো কাঁচামাল কম খরচে সংগ্রহ করতে পারবে এবং উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে ভোক্তাদের জন্য আরও প্রতিযোগিতামূলক দাম নির্ধারণ করতে সক্ষম হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ মার্কিন গাড়ি শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তন হতে পারে। এতে করে শুধু বড় বড় প্রতিষ্ঠানই নয়, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারাও উপকৃত হবেন। একই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনী বছরকে সামনে রেখে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসন আগেও স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে নানা ধরনের ট্যারিফ নীতি গ্রহণ করেছে। তবে এই উদ্যোগ বিশেষভাবে গাড়ি শিল্পকে টার্গেট করে নেয়া হয়েছে, যা একে মার্কিন অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এবারের পরিকল্পিত শুল্ক ছাড় প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়িত হলে মার্কিন গাড়ি শিল্প নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারে এমন আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।