ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মালদ্বীপে বিশেষ অভিযানে ৫০ জন প্রবাসী শ্রমিক আটক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

মালদ্বীপে অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে চলমান বিশেষ অভিযানে ৫০ জন প্রবাসী শ্রমিককে আটক করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পুলিশের সহযোগিতায় ধুভাফারুতে যৌথ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে এই অভিযান পরিচালিত হয়। কাগজপত্রের বৈধতা না থাকায় ৫০ জনেরও বেশি অনিয়মিত কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দিনব্যাপী এই অভিযানে ১০০ জনেরও বেশি প্রবাসী শ্রমিককে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আটক হওয়া ব্যক্তিদের জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি তদন্তের স্বার্থে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপারেশন ‘কুরাঙ্গি’ প্রকল্পের মাধ্যমে অনিয়মিত অভিবাসন সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধান করা হবে।

২০২৩ সাল থেকে মালদ্বীপ সরকার অভিবাসন সুরক্ষা নীতির আওতায় অনিয়মিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করে। এখন পর্যন্ত ৬ হাজারেরও বেশি প্রবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। চলমান অভিযানের কারণে অনেক অবৈধ অভিবাসী রাজধানী মালে থেকে বিভিন্ন দ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। ফলে দ্বীপ এলাকাগুলোতেও অভিযান জোরদার করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।

এদিকে, মালদ্বীপে প্রবাসীদের বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহের কাজও চলমান রয়েছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ মার্চ পর্যন্ত এক লাখ অভিবাসীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যেসব বিদেশি কর্মী এখনও বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করেননি, তাদেরকে চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান না করলে, সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বহিষ্কার করা হবে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

মালদ্বীপে বিশেষ অভিযানে ৫০ জন প্রবাসী শ্রমিক আটক

আপডেট সময় ০২:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

 

মালদ্বীপে অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে চলমান বিশেষ অভিযানে ৫০ জন প্রবাসী শ্রমিককে আটক করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পুলিশের সহযোগিতায় ধুভাফারুতে যৌথ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে এই অভিযান পরিচালিত হয়। কাগজপত্রের বৈধতা না থাকায় ৫০ জনেরও বেশি অনিয়মিত কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

দিনব্যাপী এই অভিযানে ১০০ জনেরও বেশি প্রবাসী শ্রমিককে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আটক হওয়া ব্যক্তিদের জাতীয়তা প্রকাশ করা হয়নি তদন্তের স্বার্থে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপারেশন ‘কুরাঙ্গি’ প্রকল্পের মাধ্যমে অনিয়মিত অভিবাসন সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধান করা হবে।

২০২৩ সাল থেকে মালদ্বীপ সরকার অভিবাসন সুরক্ষা নীতির আওতায় অনিয়মিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু করে। এখন পর্যন্ত ৬ হাজারেরও বেশি প্রবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। চলমান অভিযানের কারণে অনেক অবৈধ অভিবাসী রাজধানী মালে থেকে বিভিন্ন দ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। ফলে দ্বীপ এলাকাগুলোতেও অভিযান জোরদার করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।

এদিকে, মালদ্বীপে প্রবাসীদের বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহের কাজও চলমান রয়েছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৯ মার্চ পর্যন্ত এক লাখ অভিবাসীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যেসব বিদেশি কর্মী এখনও বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করেননি, তাদেরকে চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান না করলে, সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বহিষ্কার করা হবে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।