ঢাকা ০৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গা/জা/য় খাদ্যঘাটতির আশঙ্কা: ইসরায়েলের অবরোধে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০০:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ, ওষুধ, জ্বালানিসহ কোনো পণ্য প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এর ফলে গাজায় তাদের খাদ্য মজুদ শেষ হয়ে গেছে। খবর- এএফপি ও আল জাজিরা।

গত শনিবার ডব্লিউএফপি নিশ্চিত করেছে, তাদের হাতে থাকা শেষ খাবারের মজুদ স্থানীয় রান্নাঘরগুলোকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংস্থাটি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, কয়েক দিনের মধ্যেই গাজায় সম্পূর্ণভাবে খাবার ফুরিয়ে যাবে। ডব্লিউএফপির ফিলিস্তিন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গাজার চার লাখের বেশি মানুষ খাবারের জন্য এই সংস্থার ওপর নির্ভরশীল। যদি ডব্লিউএফপির খাদ্য মজুদ শেষ হয়ে যায়, তবে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য আর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই।

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় এনজিওসহ আমাদের সকলের খাদ্য মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ, ওষুধ, জ্বালানি প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। যুদ্ধবিরতির সময় যতটুকু খাদ্য মজুদ করা গিয়েছিল, তার এখন মাত্র সামান্যই অবশিষ্ট আছে।’

এদিকে গাজা যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে একটি চুক্তিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে হামাস। প্রস্তাবিত চুক্তিতে গাজায় অবশিষ্ট জিম্মিদের একসঙ্গে মুক্তি এবং পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হামাসের এক কর্মকর্তা গতকাল শনিবার এ বিষয়ে জানিয়েছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অবরোধ দীর্ঘায়িত হলে গাজার মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। আন্তর্জাতিক মহল এ সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গা/জা/য় খাদ্যঘাটতির আশঙ্কা: ইসরায়েলের অবরোধে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি

আপডেট সময় ১১:০০:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

 

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ, ওষুধ, জ্বালানিসহ কোনো পণ্য প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এর ফলে গাজায় তাদের খাদ্য মজুদ শেষ হয়ে গেছে। খবর- এএফপি ও আল জাজিরা।

গত শনিবার ডব্লিউএফপি নিশ্চিত করেছে, তাদের হাতে থাকা শেষ খাবারের মজুদ স্থানীয় রান্নাঘরগুলোকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সংস্থাটি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, কয়েক দিনের মধ্যেই গাজায় সম্পূর্ণভাবে খাবার ফুরিয়ে যাবে। ডব্লিউএফপির ফিলিস্তিন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গাজার চার লাখের বেশি মানুষ খাবারের জন্য এই সংস্থার ওপর নির্ভরশীল। যদি ডব্লিউএফপির খাদ্য মজুদ শেষ হয়ে যায়, তবে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য আর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই।

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় এনজিওসহ আমাদের সকলের খাদ্য মজুদ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ, ওষুধ, জ্বালানি প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। যুদ্ধবিরতির সময় যতটুকু খাদ্য মজুদ করা গিয়েছিল, তার এখন মাত্র সামান্যই অবশিষ্ট আছে।’

এদিকে গাজা যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে একটি চুক্তিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে হামাস। প্রস্তাবিত চুক্তিতে গাজায় অবশিষ্ট জিম্মিদের একসঙ্গে মুক্তি এবং পাঁচ বছরের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হামাসের এক কর্মকর্তা গতকাল শনিবার এ বিষয়ে জানিয়েছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অবরোধ দীর্ঘায়িত হলে গাজার মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। আন্তর্জাতিক মহল এ সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।