ঢাকা ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

শিক্ষার্থী ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ালো ট্রাম্প প্রশাসন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫০:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 17

ছবি সংগৃহীত

 

বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে অবশেষে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির বিচার বিভাগের আইনজীবী এলিজাবেথ কার্লান ফেডারেল আদালতকে জানিয়েছেন, ভিসা বাতিলের আগে বিষয়টি পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে। এ জন্য নতুন একটি পদ্ধতি তৈরি করছে দেশটির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুমানিক দেড় হাজার শিক্ষার্থীর ওপর এ সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে। ফেডারেল সরকারের এমন আচরণের বিরুদ্ধে বিদেশি শিক্ষার্থীরা শতাধিক মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের পূর্ব সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময় শত শত শিক্ষার্থীর বৈধতা বাতিল করে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতির ফলেই প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়।

এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগেই সতর্ক করেছিলেন, যদি কোনও শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে হয়, তবে তাদের বৈধ স্ট্যাটাস বাতিল করা হবে। তার এই ঘোষণার পর দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন, আবার কেউ কেউ গ্রেফতার হন।

বিচার বিভাগ আদালতকে আরও জানিয়েছে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের রেকর্ড আবারও স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ইনফরমেশন সিস্টেম (SEVIS)-এ সংরক্ষণ করা হবে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে বিদেশি শিক্ষার্থীরা ভিসার শর্ত মেনে চলছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) শিক্ষার্থীদের অন্য কোনো অনিয়ম বা অপরাধের ভিত্তিতে SEVIS-এর রেকর্ড বাতিলের ক্ষমতা ধরে রাখবে।

আইনজীবীরা আদালতকে আরও বলেন, আকস্মিকভাবে ভিসা বাতিলের ফলে শিক্ষার্থীদের আইনি অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।

এ অবস্থায় নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে ভিসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষার্থী ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ালো ট্রাম্প প্রশাসন

আপডেট সময় ১০:৫০:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

 

বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে অবশেষে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটির বিচার বিভাগের আইনজীবী এলিজাবেথ কার্লান ফেডারেল আদালতকে জানিয়েছেন, ভিসা বাতিলের আগে বিষয়টি পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে। এ জন্য নতুন একটি পদ্ধতি তৈরি করছে দেশটির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ২৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুমানিক দেড় হাজার শিক্ষার্থীর ওপর এ সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে। ফেডারেল সরকারের এমন আচরণের বিরুদ্ধে বিদেশি শিক্ষার্থীরা শতাধিক মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের পূর্ব সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময় শত শত শিক্ষার্থীর বৈধতা বাতিল করে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতির ফলেই প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়।

এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগেই সতর্ক করেছিলেন, যদি কোনও শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে হয়, তবে তাদের বৈধ স্ট্যাটাস বাতিল করা হবে। তার এই ঘোষণার পর দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন, আবার কেউ কেউ গ্রেফতার হন।

বিচার বিভাগ আদালতকে আরও জানিয়েছে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের রেকর্ড আবারও স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর ইনফরমেশন সিস্টেম (SEVIS)-এ সংরক্ষণ করা হবে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে বিদেশি শিক্ষার্থীরা ভিসার শর্ত মেনে চলছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) শিক্ষার্থীদের অন্য কোনো অনিয়ম বা অপরাধের ভিত্তিতে SEVIS-এর রেকর্ড বাতিলের ক্ষমতা ধরে রাখবে।

আইনজীবীরা আদালতকে আরও বলেন, আকস্মিকভাবে ভিসা বাতিলের ফলে শিক্ষার্থীদের আইনি অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।

এ অবস্থায় নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে ভিসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।