১১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ভিসা জালিয়াতি ও অবৈধ অভিবাসনে কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / 60

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ কিংবা ভিসা জালিয়াতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটির প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যারা এই অপরাধে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে এবং আজীবনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, ভিসা জালিয়াতি ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার একাধিক সরকারি সংস্থার সমন্বয়ে একটি কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

পোস্টটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, যারা ভিসা জালিয়াতির মাধ্যমে মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করায় কিংবা অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অভিযোগ আনা হবে। এ ধরনের অপরাধে জড়িতরা শুধুমাত্র নিজেদেরই নয়, বরং পুরো অভিবাসন ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের মতে, একটি দেশের নিরাপদ সীমান্ত না থাকলে সেই রাষ্ট্র জাতীয়ভাবে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। সেজন্যই অভিবাসন আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে এবং অবৈধ পথে প্রবেশের সমস্ত পথ বন্ধ করা হবে।

মার্কিন দূতাবাসের পোস্টে বলা হয়েছে, যারা বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য আবেদন করছেন, তাদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে এবং বৈধ প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান জানাতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ভিসা জালিয়াতি প্রতিরোধে সকল দেশের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসন্ন নির্বাচনী প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে ট্রাম্প প্রশাসন আবারও কড়া অভিবাসন নীতির পথে হাঁটছে। এতে করে অভিবাসন ইস্যুটি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

এ অবস্থায় যারা যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদের বৈধ পথে আবেদনের পরামর্শ দিয়েছে দূতাবাস। কারণ, কোনো ধরনের জালিয়াতি প্রমাণিত হলে তা শুধু আবেদন বাতিলেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সব পথ চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভিসা জালিয়াতি ও অবৈধ অভিবাসনে কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন

আপডেট সময় ১২:১৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ কিংবা ভিসা জালিয়াতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটির প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যারা এই অপরাধে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে এবং আজীবনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, ভিসা জালিয়াতি ও অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার একাধিক সরকারি সংস্থার সমন্বয়ে একটি কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

পোস্টটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, যারা ভিসা জালিয়াতির মাধ্যমে মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করায় কিংবা অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অভিযোগ আনা হবে। এ ধরনের অপরাধে জড়িতরা শুধুমাত্র নিজেদেরই নয়, বরং পুরো অভিবাসন ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের মতে, একটি দেশের নিরাপদ সীমান্ত না থাকলে সেই রাষ্ট্র জাতীয়ভাবে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। সেজন্যই অভিবাসন আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে এবং অবৈধ পথে প্রবেশের সমস্ত পথ বন্ধ করা হবে।

মার্কিন দূতাবাসের পোস্টে বলা হয়েছে, যারা বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য আবেদন করছেন, তাদের অধিকার সুরক্ষিত রাখতে এবং বৈধ প্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান জানাতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ভিসা জালিয়াতি প্রতিরোধে সকল দেশের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আসন্ন নির্বাচনী প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে ট্রাম্প প্রশাসন আবারও কড়া অভিবাসন নীতির পথে হাঁটছে। এতে করে অভিবাসন ইস্যুটি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

এ অবস্থায় যারা যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদের বৈধ পথে আবেদনের পরামর্শ দিয়েছে দূতাবাস। কারণ, কোনো ধরনের জালিয়াতি প্রমাণিত হলে তা শুধু আবেদন বাতিলেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সব পথ চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।