ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজার ত্রাণকেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৭ মৌলভীবাজারে পৈতৃক জমি নিয়ে বিরোধে ২ বোনকে কুপিয়ে হত্যা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীতে বড় রদবদল আনলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ছুটির আমেজে শেষ কর্মদিবস আজ, কাল থেকে ১০ দিনের ছুটি দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন লি জে-মিয়ং ঈদ ফিরতি যাত্রা: আজ বিক্রি হচ্ছে ১৪ জুনের ট্রেনের টিকিট জি৭ সম্মেলনে মোদির অনুপস্থিতি সম্ভাব্য, আমন্ত্রণ জানায়নি কানাডা ভাঙ্গায় বাস-মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত, আহত আরও ৪ কুমিল্লায় অস্ত্র ও মাদকসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্য আটক আইপিএলের শিরোপা হাতে কোহলির কান্না: বেঙ্গালুরুর ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান

ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিম তীর যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করলো ইসরায়েল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 26

ছবি সংগৃহীত

 

 

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা। কিন্তু সফরের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয় না করে তার ওই এলাকাগুলোতে প্রবেশে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এই ঘটনাকে একটি ‘বিপজ্জনক নজির’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, সফরের আওতায় প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা পশ্চিম তীরের বুরকা, দেইর দিবওয়ান, দোমা ও কুসরা গ্রামগুলো পরিদর্শন করতে চেয়েছিলেন। এসব গ্রাম বিগত সময় ধরে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ধারাবাহিক হামলার শিকার হয়ে আসছে। সেইসঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নজরদারি ও উপস্থিতি এলাকাগুলোতে ভয়ভীতি ছড়িয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

বসতি ও দেয়াল প্রতিরোধ কমিশনের প্রধান মুআয়্যাদ শাবান জানিয়েছেন, রামাল্লাহ ও নাবলুস সংলগ্ন এসব এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা করেছিল। কারণ, ফিলিস্তিনি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের চলাচলের সময় নিরাপত্তা বাহিনীও সঙ্গে থাকে এবং এই চলাচলের পূর্বে ইসরায়েলের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এবার ইসরায়েল সেই অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করেছে।

মুআয়্যাদ শাবান বলেন, “এই সিদ্ধান্ত শুধু রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, বরং নিরাপত্তার দিক থেকেও গভীর উদ্বেগজনক। এটি ভবিষ্যতে আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।”

এদিকে, পশ্চিম তীরের এসব গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা প্রায়শই গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং অনেক সময় সেনা সদস্যদের সহায়তা পেয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে এই এলাকাগুলোর পরিস্থিতি সরেজমিনে মূল্যায়ন করার কথা ছিল।

ফিলিস্তিনি নেতারা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলি নীতির একটি অংশ, যা দখলকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের দমন ও তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা এই ঘটনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিম তীর যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করলো ইসরায়েল

আপডেট সময় ০১:১৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

 

 

ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রাম সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা। কিন্তু সফরের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয় না করে তার ওই এলাকাগুলোতে প্রবেশে বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এই ঘটনাকে একটি ‘বিপজ্জনক নজির’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, সফরের আওতায় প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা পশ্চিম তীরের বুরকা, দেইর দিবওয়ান, দোমা ও কুসরা গ্রামগুলো পরিদর্শন করতে চেয়েছিলেন। এসব গ্রাম বিগত সময় ধরে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ধারাবাহিক হামলার শিকার হয়ে আসছে। সেইসঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নজরদারি ও উপস্থিতি এলাকাগুলোতে ভয়ভীতি ছড়িয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

বসতি ও দেয়াল প্রতিরোধ কমিশনের প্রধান মুআয়্যাদ শাবান জানিয়েছেন, রামাল্লাহ ও নাবলুস সংলগ্ন এসব এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা করেছিল। কারণ, ফিলিস্তিনি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের চলাচলের সময় নিরাপত্তা বাহিনীও সঙ্গে থাকে এবং এই চলাচলের পূর্বে ইসরায়েলের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। কিন্তু এবার ইসরায়েল সেই অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করেছে।

মুআয়্যাদ শাবান বলেন, “এই সিদ্ধান্ত শুধু রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, বরং নিরাপত্তার দিক থেকেও গভীর উদ্বেগজনক। এটি ভবিষ্যতে আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।”

এদিকে, পশ্চিম তীরের এসব গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা প্রায়শই গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালাচ্ছে এবং অনেক সময় সেনা সদস্যদের সহায়তা পেয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে এই এলাকাগুলোর পরিস্থিতি সরেজমিনে মূল্যায়ন করার কথা ছিল।

ফিলিস্তিনি নেতারা বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলি নীতির একটি অংশ, যা দখলকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের দমন ও তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা এই ঘটনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।