ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরান কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে: আইএইএ পাকিস্তানে মুষলধারে বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় ২৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৭ বাংলাদেশ ক্রিকেটকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিসিবি: আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশের জন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রযোজ্য নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনার খবর ভিত্তিহীন, ইরানের কড়া প্রতিবাদ ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আইআরজিসি সদর দপ্তরে নিহত হয়েছিল ৪১ জন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৮১, ধ্বংসস্তূপে চলছে মরদেহ উদ্ধার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫ গাজায় ইসরাইলি অবরোধে অপুষ্টিতে ৬৬ শিশুর মৃত্যু জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ক্রিমিয়ায় রুশ নিয়ন্ত্রণ মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 45

ছবি সংগৃহীত

 

 

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে নতুন শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনার কথাও উঠে এসেছে। এ বিষয়ে অবগত একজন মার্কিন কর্মকর্তা সম্প্রতি সিএনএনকে জানান, ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রস্তাবনায় রাশিয়ার অবস্থানকে কিছুটা স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার প্যারিসে ইউরোপীয় এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই প্রস্তাবের খসড়া তুলে ধরেছে ওয়াশিংটন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যেসব এলাকা বর্তমানে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেগুলো ধরে নিয়েই যুদ্ধবিরতির একটি কাঠামো তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে তা রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা করে মস্কো। এরপর থেকেই অঞ্চলটি রুশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইউক্রেন এটি কখনোই বৈধভাবে মেনে নেয়নি।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের পর যুদ্ধ ভয়াবহ রূপ নেয়। একই সঙ্গে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খারসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করে মস্কো। আন্তর্জাতিকভাবে এসব সংযুক্তি এখনো স্বীকৃত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রস্তাবে ক্রিমিয়া নিয়ে নমনীয় অবস্থানের খবর প্রকাশের পর ইউক্রেন সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

সিএনএন সূত্র জানায়, এই প্রস্তাব নিয়ে এরই মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজার এই উদ্যোগকে গুরুত্ব দিয়েই দেখা উচিত।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের প্রস্তাব ইউক্রেনের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কারণ, এটি রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চলকে পরোক্ষভাবে বৈধতা দেওয়ার ইঙ্গিত বহন করে। তবে দীর্ঘদিনের এই যুদ্ধের অবসানে যদি কোনো স্থায়ী সমাধানের পথ খোলা যায়, তবে তা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতির জন্য বড় একটি মোড় হয়ে উঠতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ক্রিমিয়ায় রুশ নিয়ন্ত্রণ মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় ০৯:৫৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

 

 

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামাতে নতুন শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনার কথাও উঠে এসেছে। এ বিষয়ে অবগত একজন মার্কিন কর্মকর্তা সম্প্রতি সিএনএনকে জানান, ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রস্তাবনায় রাশিয়ার অবস্থানকে কিছুটা স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার প্যারিসে ইউরোপীয় এবং ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই প্রস্তাবের খসড়া তুলে ধরেছে ওয়াশিংটন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যেসব এলাকা বর্তমানে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেগুলো ধরে নিয়েই যুদ্ধবিরতির একটি কাঠামো তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে।

২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে তা রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা করে মস্কো। এরপর থেকেই অঞ্চলটি রুশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইউক্রেন এটি কখনোই বৈধভাবে মেনে নেয়নি।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের পর যুদ্ধ ভয়াবহ রূপ নেয়। একই সঙ্গে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খারসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করে মস্কো। আন্তর্জাতিকভাবে এসব সংযুক্তি এখনো স্বীকৃত নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রস্তাবে ক্রিমিয়া নিয়ে নমনীয় অবস্থানের খবর প্রকাশের পর ইউক্রেন সরকার তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

সিএনএন সূত্র জানায়, এই প্রস্তাব নিয়ে এরই মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজার এই উদ্যোগকে গুরুত্ব দিয়েই দেখা উচিত।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের প্রস্তাব ইউক্রেনের জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কারণ, এটি রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চলকে পরোক্ষভাবে বৈধতা দেওয়ার ইঙ্গিত বহন করে। তবে দীর্ঘদিনের এই যুদ্ধের অবসানে যদি কোনো স্থায়ী সমাধানের পথ খোলা যায়, তবে তা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতির জন্য বড় একটি মোড় হয়ে উঠতে পারে।