ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:০৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 11

ছবি সংগৃহীত

 

সিরিয়ায় মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনা সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী মাসগুলোতে সেখানে সেনা সংখ্যা কমে এক হাজারের নিচে নেমে আসবে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

দীর্ঘদিন ধরে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ও অরাজকতার সুযোগ নিয়ে আইএস জঙ্গিরা এক সময় দেশটির বড় একটি অংশ এবং ইরাকের কিছু এলাকা দখলে নেয়। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংগঠনটি বড় ধরনের পরাজয়ের মুখে পড়েছে, তবুও তারা এখনও একটি সক্রিয় হুমকি হিসেবে বিবেচিত।

পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল এক বিবৃতিতে জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিরিয়ায় মোতায়েনকৃত মার্কিন বাহিনীকে একত্রিকরণের নির্দেশ দিয়েছেন। পরিকল্পিত ও শর্তসাপেক্ষ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিরিয়ায় সেনা সংখ্যা কমিয়ে ১ হাজারেরও নিচে নামিয়ে আনা হবে।

তিনি আরও জানান, এই সমন্বয়ের সময়েও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (CENTCOM) সিরিয়ায় আইএসের অবশিষ্ট সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়ে যাবে।

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই সন্দিহান ছিলেন। প্রথম মেয়াদে তিনি সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে অবস্থান নিলেও শেষ পর্যন্ত কিছু সেনা সেখানে রেখে যান।

ট্রাম্প একসময় সিরিয়ায় মার্কিন ভূমিকার বিরোধিতা করে নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছিলেন, ‘ওই অঞ্চলে ব্যাপক অস্থিরতা চলছে, কিন্তু তারা আমাদের মিত্র নয়। এটা আমাদের লড়াই নয়।’

তবে আসাদের সরকারবিরোধী ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের হামলার প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন সিরিয়ায় আইএস-বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দিকেও মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে।

২০২৩ সালের শেষ ভাগ থেকে হুতি গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলে বারবার হামলা চালিয়ে আসছে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

সিরিয়ায় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের আনুমানিক ৯০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে, যদিও পেন্টাগনের এক ঘোষণায় বলা হয়, ২০২৪ সালের শুরুতে তা সাময়িকভাবে ২ হাজার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

এদিকে, সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশ ইরাকও দেশটিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের উপস্থিতির অবসান চেয়েছে। ইরাকে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২ হাজার ৫০০ সেনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন

আপডেট সময় ০৫:০৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

 

সিরিয়ায় মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনা সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী মাসগুলোতে সেখানে সেনা সংখ্যা কমে এক হাজারের নিচে নেমে আসবে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

দীর্ঘদিন ধরে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জোটের অংশ হিসেবে সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ও অরাজকতার সুযোগ নিয়ে আইএস জঙ্গিরা এক সময় দেশটির বড় একটি অংশ এবং ইরাকের কিছু এলাকা দখলে নেয়। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংগঠনটি বড় ধরনের পরাজয়ের মুখে পড়েছে, তবুও তারা এখনও একটি সক্রিয় হুমকি হিসেবে বিবেচিত।

পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল এক বিবৃতিতে জানান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী সিরিয়ায় মোতায়েনকৃত মার্কিন বাহিনীকে একত্রিকরণের নির্দেশ দিয়েছেন। পরিকল্পিত ও শর্তসাপেক্ষ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিরিয়ায় সেনা সংখ্যা কমিয়ে ১ হাজারেরও নিচে নামিয়ে আনা হবে।

তিনি আরও জানান, এই সমন্বয়ের সময়েও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (CENTCOM) সিরিয়ায় আইএসের অবশিষ্ট সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়ে যাবে।

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই সন্দিহান ছিলেন। প্রথম মেয়াদে তিনি সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে অবস্থান নিলেও শেষ পর্যন্ত কিছু সেনা সেখানে রেখে যান।

ট্রাম্প একসময় সিরিয়ায় মার্কিন ভূমিকার বিরোধিতা করে নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছিলেন, ‘ওই অঞ্চলে ব্যাপক অস্থিরতা চলছে, কিন্তু তারা আমাদের মিত্র নয়। এটা আমাদের লড়াই নয়।’

তবে আসাদের সরকারবিরোধী ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের হামলার প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন সিরিয়ায় আইএস-বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দিকেও মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে।

২০২৩ সালের শেষ ভাগ থেকে হুতি গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলে বারবার হামলা চালিয়ে আসছে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

সিরিয়ায় বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের আনুমানিক ৯০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে, যদিও পেন্টাগনের এক ঘোষণায় বলা হয়, ২০২৪ সালের শুরুতে তা সাময়িকভাবে ২ হাজার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।

এদিকে, সিরিয়ার প্রতিবেশী দেশ ইরাকও দেশটিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের উপস্থিতির অবসান চেয়েছে। ইরাকে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২ হাজার ৫০০ সেনা রয়েছে বলে জানা গেছে।