ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের এফ-১ ভিসা বাতিল, অর্ধেক ভারতীয় নাগরিক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 22

ছবি সংগৃহীত

 

 

যুক্তরাষ্ট্রে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনের অভিযোগে ৩২৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থীর এফ-১ ভিসা বাতিল করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, এদের অর্ধেকই ভারতীয়। তিনি এই ঘটনাকে উদ্বেগজনক ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার ফলাফল বলে মন্তব্য করেছেন।

জয়রাম রমেশ এক্স (টুইটার)-এ ‘আমেরিকান ইমিগ্রেশন লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (AILA)’-এর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি শেয়ার করে লিখেছেন, “ভিসা বাতিলের কারণগুলি অস্পষ্ট এবং যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এতে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে।”

তিনি এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে আলোচনা করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ভিসা বাতিলের ঘটনাটি এখানেই থেমে নেই। মার্কিন সরকার এই শিক্ষার্থীদের ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ হিসেবেও চিহ্নিত করেছে। ফলে ভবিষ্যতে তারা আর কখনো যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানা গেছে। এই সিদ্ধান্তটি ‘ধরা এবং বাতিল’ নীতির আওতায় নেওয়া হয়েছে, যার অধীনে শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

AILA-র প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ ভারতীয়, ১৪ শতাংশ চীনা এবং বাকিরা বাংলাদেশ, নেপাল ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক।

এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE)। তারা বিগত চার মাস ধরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করছে। অভিযোগ উঠেছে, এই প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে নিরীহ ও নির্দোষ শিক্ষার্থীরাও শিকার হচ্ছেন।

অনেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। এমনকি ফিলিস্তিন সংক্রান্ত ক্যাম্পাস বিক্ষোভেও তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি। তবুও তাদের বিরুদ্ধে এমন কড়া পদক্ষেপ নেওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে অভিভাবক ও আন্তর্জাতিক মহলে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষানীতির প্রতি আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে, বিশেষত দক্ষিণ এশীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের এফ-১ ভিসা বাতিল, অর্ধেক ভারতীয় নাগরিক

আপডেট সময় ১২:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

 

 

যুক্তরাষ্ট্রে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনের অভিযোগে ৩২৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থীর এফ-১ ভিসা বাতিল করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, এদের অর্ধেকই ভারতীয়। তিনি এই ঘটনাকে উদ্বেগজনক ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার ফলাফল বলে মন্তব্য করেছেন।

জয়রাম রমেশ এক্স (টুইটার)-এ ‘আমেরিকান ইমিগ্রেশন লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (AILA)’-এর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি শেয়ার করে লিখেছেন, “ভিসা বাতিলের কারণগুলি অস্পষ্ট এবং যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এতে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে।”

তিনি এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে আলোচনা করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ভিসা বাতিলের ঘটনাটি এখানেই থেমে নেই। মার্কিন সরকার এই শিক্ষার্থীদের ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ হিসেবেও চিহ্নিত করেছে। ফলে ভবিষ্যতে তারা আর কখনো যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানা গেছে। এই সিদ্ধান্তটি ‘ধরা এবং বাতিল’ নীতির আওতায় নেওয়া হয়েছে, যার অধীনে শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

AILA-র প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ ভারতীয়, ১৪ শতাংশ চীনা এবং বাকিরা বাংলাদেশ, নেপাল ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক।

এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE)। তারা বিগত চার মাস ধরে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করছে। অভিযোগ উঠেছে, এই প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে নিরীহ ও নির্দোষ শিক্ষার্থীরাও শিকার হচ্ছেন।

অনেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। এমনকি ফিলিস্তিন সংক্রান্ত ক্যাম্পাস বিক্ষোভেও তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি। তবুও তাদের বিরুদ্ধে এমন কড়া পদক্ষেপ নেওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে অভিভাবক ও আন্তর্জাতিক মহলে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষানীতির প্রতি আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে, বিশেষত দক্ষিণ এশীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।