১১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

অপতথ্য নিয়ে কাজ করা সংস্থা বন্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:২৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 65

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই ট্রাম্প প্রশাসন বন্ধ করে দিল তথ্যবিরোধী একটি সংস্থা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা এই সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া অপতথ্য চিহ্নিত ও প্রতিরোধে কাজ করত। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর দাবি, এ ধরনের সংস্থার আর প্রয়োজন নেই, বরং এটি সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছিল।

রুবিও বলেন, “এই সংস্থা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করছিল। অনেক নাগরিক কেবল সামাজিক মাধ্যমে মতামত দেওয়ার কারণে আইনি জটিলতায় পড়ছেন, এমনকি জেলেও যেতে হচ্ছে। এ ধরনের নজরদারি বন্ধ করা উচিত।” তাঁর অভিযোগ, সংস্থাটি মূলত রক্ষণশীল মতবাদ ও মিডিয়াকে লক্ষ্য করে চলছিল এবং প্রতিবছর ৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করে জনমত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিল।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, এই তথ্যবিরোধী ইউনিট গঠন করা হয়েছিল রাশিয়া ও চীনের অপতথ্য অভিযান মোকাবেলার লক্ষ্যে। সংস্থাটির কাজ ছিল এসব দেশের প্রচারিত বিভ্রান্তিমূলক তথ্য চিহ্নিত করে জনগণকে সতর্ক করা। কিন্তু ধীরে ধীরে এটি আমেরিকার অভ্যন্তরীণ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে বলে অভিযোগ উঠে।

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে একটি বিতর্কিত অভিবাসন মামলায়। ওয়াশিংটনের ফেডারেল বিচারক জেমস বোসবার্গ রায় দিয়েছেন, এল সালভাদোর থেকে যারা ডিপোর্ট করে ফেরত পাঠানো হচ্ছিল, সেই বিমানে তাদের ফেরত আনতে হবে। আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করায় হোয়াইট হাউসকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা ও ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আদালত অবমাননার অভিযোগ গঠন হতে পারে।

অন্যদিকে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও এসেছে বিতর্কের কেন্দ্রে। মার্কিন প্রশাসন এবার বিশ্ববিদ্যালয়টির করছাড় সুবিধা বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন ও ওয়াশিংটন পোস্ট। সাধারণত ৫০১ (সি)(৩) ধারার অধীনে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করছাড় পায়। প্রশাসনের একাংশের দাবি, হার্ভার্ড একাডেমিক স্বাধীনতার নামে রাজনৈতিক প্রভাব খাটাচ্ছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে, শিক্ষার প্রশ্নে তারা কোনো চাপ মেনে নেবে না।

এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের মতপ্রকাশ ও শিক্ষা-স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

অপতথ্য নিয়ে কাজ করা সংস্থা বন্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশ

আপডেট সময় ০২:২৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্কের মাঝেই ট্রাম্প প্রশাসন বন্ধ করে দিল তথ্যবিরোধী একটি সংস্থা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা এই সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া অপতথ্য চিহ্নিত ও প্রতিরোধে কাজ করত। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর দাবি, এ ধরনের সংস্থার আর প্রয়োজন নেই, বরং এটি সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছিল।

রুবিও বলেন, “এই সংস্থা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করছিল। অনেক নাগরিক কেবল সামাজিক মাধ্যমে মতামত দেওয়ার কারণে আইনি জটিলতায় পড়ছেন, এমনকি জেলেও যেতে হচ্ছে। এ ধরনের নজরদারি বন্ধ করা উচিত।” তাঁর অভিযোগ, সংস্থাটি মূলত রক্ষণশীল মতবাদ ও মিডিয়াকে লক্ষ্য করে চলছিল এবং প্রতিবছর ৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করে জনমত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিল।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, এই তথ্যবিরোধী ইউনিট গঠন করা হয়েছিল রাশিয়া ও চীনের অপতথ্য অভিযান মোকাবেলার লক্ষ্যে। সংস্থাটির কাজ ছিল এসব দেশের প্রচারিত বিভ্রান্তিমূলক তথ্য চিহ্নিত করে জনগণকে সতর্ক করা। কিন্তু ধীরে ধীরে এটি আমেরিকার অভ্যন্তরীণ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে বলে অভিযোগ উঠে।

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে একটি বিতর্কিত অভিবাসন মামলায়। ওয়াশিংটনের ফেডারেল বিচারক জেমস বোসবার্গ রায় দিয়েছেন, এল সালভাদোর থেকে যারা ডিপোর্ট করে ফেরত পাঠানো হচ্ছিল, সেই বিমানে তাদের ফেরত আনতে হবে। আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করায় হোয়াইট হাউসকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা ও ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আদালত অবমাননার অভিযোগ গঠন হতে পারে।

অন্যদিকে, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ও এসেছে বিতর্কের কেন্দ্রে। মার্কিন প্রশাসন এবার বিশ্ববিদ্যালয়টির করছাড় সুবিধা বাতিল করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন ও ওয়াশিংটন পোস্ট। সাধারণত ৫০১ (সি)(৩) ধারার অধীনে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করছাড় পায়। প্রশাসনের একাংশের দাবি, হার্ভার্ড একাডেমিক স্বাধীনতার নামে রাজনৈতিক প্রভাব খাটাচ্ছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে, শিক্ষার প্রশ্নে তারা কোনো চাপ মেনে নেবে না।

এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের মতপ্রকাশ ও শিক্ষা-স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।