ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গা/জা/য় অনির্দিষ্টকাল সেনা রাখার ঘোষণা ই*স*রা*য়ে*লের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৫৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 35

ছবি সংগৃহীত

 

গাজায় দীর্ঘমেয়াদি সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ভবিষ্যতে আর গাজা কিংবা দখলকৃত অন্য কোনো এলাকা থেকে সরে যাবে না। বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ কথা জানান তিনি। খবর আল জাজিরার।

তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী এখন গাজা, লেবানন ও সিরিয়ার সেইসব নিরাপত্তা এলাকায় থাকবে, যেগুলো ইসরায়েলি ভূখণ্ডকে শত্রুদের এলাকা থেকে পৃথক করে রেখেছে। এসব স্থানে সেনারা অস্থায়ী নয়, বরং স্থায়ীভাবেই অবস্থান করবে।”

গত মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে ইসরায়েল আবারো বড় পরিসরে হামলা শুরু করে। এরপর গাজার প্রায় অর্ধেক অংশ ইসরায়েলি সেনারা দখলে নেয়। বিভিন্ন এলাকা ‘পরিষ্কার’ করার নামে ইসরায়েল সেনারা সেখানে অবস্থান করে যাচ্ছে। অথচ আগের চুক্তি অনুযায়ী সেনা প্রত্যাহারের কথা ছিল।

এছাড়া, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে করা চুক্তির আলোকে দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইসরায়েল। কিন্তু বাস্তবে তা পালন করেনি। বরং ইসরায়েলি সেনারা এখনো লেবাননের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে।

অন্যদিকে, সিরিয়ার গোলান মালভূমির দখল নিয়েও এগিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সরিয়ে দেওয়ার পর ইসরায়েল গোলান মালভূমির একটি বড় অংশ দখল করে নেয়।

বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাতজ আরও জানান, যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

ফিলিস্তিনি মানবিক পরিস্থিতি যেখানে দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে, সেখানে ইসরায়েলের এমন কৌশল আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের এই ঘোষণার ফলে গাজা এবং আশপাশের অঞ্চলে সংঘাত আরও দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

ইতোমধ্যে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলের অবস্থান থেকে তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

গা/জা/য় অনির্দিষ্টকাল সেনা রাখার ঘোষণা ই*স*রা*য়ে*লের

আপডেট সময় ০৮:৫৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

 

গাজায় দীর্ঘমেয়াদি সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ভবিষ্যতে আর গাজা কিংবা দখলকৃত অন্য কোনো এলাকা থেকে সরে যাবে না। বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ কথা জানান তিনি। খবর আল জাজিরার।

তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী এখন গাজা, লেবানন ও সিরিয়ার সেইসব নিরাপত্তা এলাকায় থাকবে, যেগুলো ইসরায়েলি ভূখণ্ডকে শত্রুদের এলাকা থেকে পৃথক করে রেখেছে। এসব স্থানে সেনারা অস্থায়ী নয়, বরং স্থায়ীভাবেই অবস্থান করবে।”

গত মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে ইসরায়েল আবারো বড় পরিসরে হামলা শুরু করে। এরপর গাজার প্রায় অর্ধেক অংশ ইসরায়েলি সেনারা দখলে নেয়। বিভিন্ন এলাকা ‘পরিষ্কার’ করার নামে ইসরায়েল সেনারা সেখানে অবস্থান করে যাচ্ছে। অথচ আগের চুক্তি অনুযায়ী সেনা প্রত্যাহারের কথা ছিল।

এছাড়া, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে করা চুক্তির আলোকে দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইসরায়েল। কিন্তু বাস্তবে তা পালন করেনি। বরং ইসরায়েলি সেনারা এখনো লেবাননের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে।

অন্যদিকে, সিরিয়ার গোলান মালভূমির দখল নিয়েও এগিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সরিয়ে দেওয়ার পর ইসরায়েল গোলান মালভূমির একটি বড় অংশ দখল করে নেয়।

বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাতজ আরও জানান, যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে গাজার শরণার্থী শিবিরগুলোতে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

ফিলিস্তিনি মানবিক পরিস্থিতি যেখানে দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে, সেখানে ইসরায়েলের এমন কৌশল আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের এই ঘোষণার ফলে গাজা এবং আশপাশের অঞ্চলে সংঘাত আরও দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

ইতোমধ্যে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন গাজায় দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলের অবস্থান থেকে তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত।