ঢাকা ১২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণই: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর  

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 14

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে সচেতন এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার, ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামনে কিছু জটিল চ্যালেঞ্জ রয়েছে, আর এসব মোকাবিলায় জনগণের অংশগ্রহণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক সাম্প্রতিক কিছু বিতর্কিত ঘটনা তুলে ধরেন, যার মধ্যে ছিল বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, ইসলামি চরমপন্থার সম্ভাব্য উত্থান, ওসামা বিন লাদেনের ছবি প্রদর্শন এবং নাৎসি প্রতীকের ব্যবহার। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ড কোকাকোলা ও কেএফসির বিরুদ্ধে অ্যান্টিসেমিটিক প্রচারণার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ব্রুস বলেন, “আমরা বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি খুব গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি। এসব ঘটনা নিয়ে আমরা অবগত, তবে এগুলো একান্তভাবেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সেখানকার কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারেই পড়ে।”

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণের চিন্তা, কাজ এবং সিদ্ধান্তই একটি দেশের গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়। “গত দুই দশকের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি ভুল সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব ফেলতে পারে সাধারণ মানুষের জীবনে। সুতরাং, বাংলাদেশের জন্য কোন পথ গ্রহণ করা হবে, তা নির্ধারণ করবেন এখানকার নাগরিকরাই,” বলেন ব্রুস।

সংবাদ সম্মেলনে আরও একটি স্পর্শকাতর বিষয় উঠে আসে যুক্তরাজ্যের এমপি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের ইস্যু করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এই প্রসঙ্গে মুখপাত্র জানান, বিষয়টি একটি স্থানীয় আইনি প্রক্রিয়ার অংশ এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই বক্তব্য বাংলাদেশকে ঘিরে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যতই জটিল হোক না কেন, জনগণের মতামত এবং ভূমিকা দিয়েই ভবিষ্যৎ গঠিত হবে এটাই বার্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণই: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর  

আপডেট সময় ১১:৪৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে সচেতন এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার, ওয়াশিংটন ডিসিতে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সামনে কিছু জটিল চ্যালেঞ্জ রয়েছে, আর এসব মোকাবিলায় জনগণের অংশগ্রহণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক সাম্প্রতিক কিছু বিতর্কিত ঘটনা তুলে ধরেন, যার মধ্যে ছিল বিক্ষোভ-প্রতিবাদ, ইসলামি চরমপন্থার সম্ভাব্য উত্থান, ওসামা বিন লাদেনের ছবি প্রদর্শন এবং নাৎসি প্রতীকের ব্যবহার। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনপ্রিয় ব্র্যান্ড কোকাকোলা ও কেএফসির বিরুদ্ধে অ্যান্টিসেমিটিক প্রচারণার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ব্রুস বলেন, “আমরা বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি খুব গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি। এসব ঘটনা নিয়ে আমরা অবগত, তবে এগুলো একান্তভাবেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সেখানকার কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারেই পড়ে।”

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণের চিন্তা, কাজ এবং সিদ্ধান্তই একটি দেশের গতিপথ নির্ধারণ করে দেয়। “গত দুই দশকের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি ভুল সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব ফেলতে পারে সাধারণ মানুষের জীবনে। সুতরাং, বাংলাদেশের জন্য কোন পথ গ্রহণ করা হবে, তা নির্ধারণ করবেন এখানকার নাগরিকরাই,” বলেন ব্রুস।

সংবাদ সম্মেলনে আরও একটি স্পর্শকাতর বিষয় উঠে আসে যুক্তরাজ্যের এমপি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের ইস্যু করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এই প্রসঙ্গে মুখপাত্র জানান, বিষয়টি একটি স্থানীয় আইনি প্রক্রিয়ার অংশ এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই বক্তব্য বাংলাদেশকে ঘিরে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যতই জটিল হোক না কেন, জনগণের মতামত এবং ভূমিকা দিয়েই ভবিষ্যৎ গঠিত হবে এটাই বার্তা।