ইসরায়েলে হুতিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৬ আহত ১৩

- আপডেট সময় ০৩:৩৫:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
- / ৫০৯ বার পড়া হয়েছে
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনি হুতি বিদ্রোহীরা আবারও ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) চালানো এই হামলায় তেল আবিব, আল-কুদস ও পশ্চিম তীর অঞ্চলে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে, যা গোটা দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার পর ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার চেষ্টা চালায়। প্রতিরোধ কতটা সফল হয়েছে, তা তদন্তাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো হতাহত বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
হুতি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, তাদের সশস্ত্র বাহিনী ‘একটি নির্দিষ্ট সামরিক অভিযানে’ অংশ নিয়েছে। এতে ‘ফিলিস্তিন-২’ নামের হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, যা ইসরায়েলের আশদোদের সোদেত মিচা সামরিক ঘাঁটি ও বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়।
এ হামলার জবাবে একই দিন ইয়েমেনে পাল্টা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সানা, সাদা ও হুদাইদাহ প্রদেশের বিভিন্ন স্থাপনায় পরিচালিত ওই হামলায় অন্তত ৬ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পাল্টা পদক্ষেপকে হুতিরা বলছে, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে তাদের আক্রমণের জবাবস্বরূপ। তবে এই পাল্টা আক্রমণে বেসামরিক জনগণের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধারাবাহিক হামলা ও পাল্টা হামলা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতাকে আরও হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। বিশেষ করে ইসরায়েল-গাজা পরিস্থিতির জেরে এমনিতেই উত্তপ্ত অঞ্চলে ইয়েমেনও এখন সরাসরি সংঘাতে জড়াতে শুরু করেছে, যা একটি বড় ধরনের সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।
বিশ্ব সম্প্রদায় এ পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বেড়ে গেলে তার প্রভাব বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।