ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বাংলাদেশ ও দ. কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের যুগান্তকারী চুক্তি

- আপডেট সময় ০৯:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
- / 79
বাংলাদেশের জনগণের জন্য আধুনিক, সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি ও দক্ষিণ কোরিয়ার হায়োসাং টিএনএস একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসির চেয়ারম্যান আবদুল ফাত্তাহ এবং হায়োসাং টিএনএসের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের এটিএম ব্যবসার প্রধান পরিচালক সাং কন লিম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশজুড়ে আধুনিক এটিএম এবং ব্যাংকিং কিয়স্ক স্থাপন, প্রযুক্তি হালনাগাদ এবং সর্বোপরি গ্রাহকদের জন্য বিশ্বমানের ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রযুক্তি পণ্য পরিবেশক গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি তাদের বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক এবং স্থানীয় অভিজ্ঞতা দিয়ে হায়োসাং টিএনএসের আন্তর্জাতিকমানের ব্যাংকিং প্রযুক্তিকে
কার্যকরভাবে মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দেবে। এর ফলে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নতুন গতি সঞ্চার হবে এবং গ্রাহকরা পাবেন আরও নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ লেনদেন সেবা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আনোয়ার এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসির চেয়ারম্যান আবদুল ফাত্তাহ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে সর্বাধুনিক ব্যাংকিং প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়া, যা সাধারণ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী হবে এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই অংশীদারত্ব সেই লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
হায়োসাং টিএনএসের পরিচালক সাং কন লিম বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের ব্যবসার নতুন দিগন্ত উন্মোচনে গ্লোবাল ব্র্যান্ডের সঙ্গে এই সহযোগিতা এক বড় পদক্ষেপ। আমরা আশা করছি, এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের ব্যাংকিং খাতে প্রযুক্তিগত বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।’
উল্লেখ্য, গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি বর্তমানে ৮০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ডের পরিবেশক হিসেবে কাজ করছে এবং বাংলাদেশে তাদের ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক অত্যন্ত বিস্তৃত। অন্যদিকে, হায়োসাং টিএনএস ১৯৭৯ সাল থেকে বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে ব্যাংকিং প্রযুক্তি সরবরাহ করে আসছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে আধুনিক ব্যাংকিং প্রযুক্তির নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।