বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো মহাকাশ গবেষণার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগে যুক্ত হলো। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘আর্তেমিস অ্যাকর্ড’-এ স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৫৪তম দেশ হিসেবে এই উদ্যোগের অংশীদার হলো।
মঙ্গলবার ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫-এর ফাঁকে এই ঐতিহাসিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণার এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করলো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নাসার ‘আর্তেমিস অ্যাকর্ড’ হলো একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামো, যার লক্ষ্য নিরাপদ, টেকসই ও শান্তিপূর্ণ মহাকাশ অনুসন্ধান নিশ্চিত করা। এই অ্যাকর্ডে অংশগ্রহণের ফলে বাংলাদেশ মহাকাশ প্রযুক্তি, গবেষণা ও শিক্ষায় বিশ্বজুড়ে সহযোগিতা ও বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বিশেষ করে চন্দ্রাভিযান ও অন্যান্য গ্রহে অভিযানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তি শুধু একটি কাগজে সই নয়, বরং এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নতুন দিগন্তের দরজা খুলে দিচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্য এটি একটি বড় অনুপ্রেরণা হবে। পাশাপাশি দেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এই উদ্যোগ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
সরকারি পর্যায়ে জানা গেছে, মহাকাশ গবেষণায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এখন থেকে নীতিগত পরিকল্পনা ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে মহাকাশ প্রযুক্তি, স্যাটেলাইট উন্নয়ন, ও মহাকাশ শিক্ষা কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ ও সবার কল্যাণে মহাকাশ ব্যবহারের লক্ষ্যেই এই চুক্তিতে সই করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করবে না, বরং প্রযুক্তি ও গবেষণার ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটাবে।