ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

গাজা ও পশ্চিম তীরে ফের ইসরাইলি হামলা, নিহত ১৯, রেহাই পাইনি শিশুরাও

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে আবারও রক্তাক্ত অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতভর চলা এই অভিযানে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৯ জন। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশু রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, রাতভর একাধিক স্থানে চালানো বোমা হামলায় গোটা উপত্যকা কেঁপে ওঠে। বিশেষ করে গাজার উত্তরের শহর বেইত লাহিয়া ও গাজা সিটিতে হামলার তীব্রতা ছিল বেশি। বেইত লাহিয়ায় ছয়জন এবং গাজা সিটিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বাসাল বলেন, “হামলাগুলো ছিল পূর্ব পরিকল্পিত ও টার্গেট নির্ভর। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশু রয়েছে, যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।”

এদিকে একই রাতে পশ্চিম তীরেও অভিযান অব্যাহত রাখে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, বিভিন্ন এলাকায় বাসভবনে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের গ্রেফতার ও উচ্ছেদ করা হয়েছে।

ফিলিস্তিন মিডিয়া সেন্টারের তথ্যমতে, নাবলুসের পূর্বাঞ্চলের রুজেইব গ্রামে একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে ইসরাইলি সেনারা। পরে সেখানকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়। অভিযানকালে সেনারা ব্যাপক তল্লাশি চালায় এবং কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, রামাল্লার কাছাকাছি নি’লিন শহরে অভিযান চালিয়ে কাঁদানে গ্যাস ও তাজা গুলি ছোড়ে ইসরাইলি বাহিনী। এ সময় ১৮ ও ১৪ বছর বয়সী দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়।

গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরাইলের এই লাগাতার আগ্রাসন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। শিশুদের মৃত্যু ও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করছে তারা।

অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। একদিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা, অন্যদিকে পশ্চিম তীরেও বাড়ছে দখলদার বাহিনীর দমন অভিযান। শান্তির আশায় দিন গুনছে ফিলিস্তিনিরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা ও পশ্চিম তীরে ফের ইসরাইলি হামলা, নিহত ১৯, রেহাই পাইনি শিশুরাও

আপডেট সময় ০৫:২৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

 

গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে আবারও রক্তাক্ত অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতভর চলা এই অভিযানে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৯ জন। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশু রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, রাতভর একাধিক স্থানে চালানো বোমা হামলায় গোটা উপত্যকা কেঁপে ওঠে। বিশেষ করে গাজার উত্তরের শহর বেইত লাহিয়া ও গাজা সিটিতে হামলার তীব্রতা ছিল বেশি। বেইত লাহিয়ায় ছয়জন এবং গাজা সিটিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বাসাল বলেন, “হামলাগুলো ছিল পূর্ব পরিকল্পিত ও টার্গেট নির্ভর। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশু রয়েছে, যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।”

এদিকে একই রাতে পশ্চিম তীরেও অভিযান অব্যাহত রাখে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, বিভিন্ন এলাকায় বাসভবনে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের গ্রেফতার ও উচ্ছেদ করা হয়েছে।

ফিলিস্তিন মিডিয়া সেন্টারের তথ্যমতে, নাবলুসের পূর্বাঞ্চলের রুজেইব গ্রামে একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে ইসরাইলি সেনারা। পরে সেখানকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয়। অভিযানকালে সেনারা ব্যাপক তল্লাশি চালায় এবং কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়।

অন্যদিকে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, রামাল্লার কাছাকাছি নি’লিন শহরে অভিযান চালিয়ে কাঁদানে গ্যাস ও তাজা গুলি ছোড়ে ইসরাইলি বাহিনী। এ সময় ১৮ ও ১৪ বছর বয়সী দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়।

গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরাইলের এই লাগাতার আগ্রাসন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। শিশুদের মৃত্যু ও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করছে তারা।

অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। একদিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা, অন্যদিকে পশ্চিম তীরেও বাড়ছে দখলদার বাহিনীর দমন অভিযান। শান্তির আশায় দিন গুনছে ফিলিস্তিনিরা।