ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি সংলাপ প্রত্যাখ্যান, সহায়তাকারীরাও রেহাই পাবে না: ইরান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৯:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 28

ছবি সংগৃহীত

 

মার্কিন হুমকির মুখে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি আলোচনা বা হামলার চাপ প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে তেহরান স্পষ্টভাবে সতর্ক করে দিয়েছে যেসব প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করবে, তারা নিজেরাও হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।

একজন শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার পরিবর্তে ওমানের মাধ্যমে আগের মতো পরোক্ষ সংলাপ চালিয়ে যেতে চায়। তার ভাষায়, “পরোক্ষ আলোচনার মাধ্যমেই বোঝা যাবে, যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক সমাধানে আসলেই আগ্রহী কি না।” তিনি আরও জানান, এই পথ কঠিন হলেও সম্ভব, যদি মার্কিন বার্তাগুলি সদর্থক হয়।

তেহরান এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশ ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন এবং তুরস্ককে সতর্ক করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের আকাশসীমা বা ভূখণ্ড ব্যবহার করলে তা শত্রুতা হিসেবে গণ্য করা হবে। ইরানি কর্মকর্তার হুঁশিয়ারি “এ ধরনের সহযোগিতার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।” দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই ইতোমধ্যে সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সামরিক তৎপরতা বাড়ছে। গাজা ও লেবাননে সংঘর্ষ, ইয়েমেনে হামলা, সিরিয়ায় নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রচেষ্টা এবং ইসরায়েল-ইরান টানাপোড়েন এই উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পারস্য উপসাগর ঘিরে থাকা রাজতান্ত্রিক দেশগুলো যারা মার্কিন ঘাঁটি গড়ে তুলেছে এখন নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।

এই প্রেক্ষাপটে কুয়েত ইরানকে আশ্বস্ত করেছে, তারা তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশের বিরুদ্ধে হামলার অনুমতি দেবে না। অন্যদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইরানের সতর্কবার্তা সম্পর্কে অবগত নয়, তবে অন্য কূটনৈতিক চ্যানেলে বার্তা পৌঁছাতে পারে।

ইরান তার ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়ার কাছ থেকেও সমর্থন চাইছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের জটিলতা এবং ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্যকে বিবেচনা করেই তেহরান সতর্ক পা ফেলছে। এক ইরানি কর্মকর্তা বলেন, “রাশিয়ার প্রতি আস্থা সীমিত, কারণ সবকিছু নির্ভর করছে ট্রাম্প-পুতিন সম্পর্কের গতিপথের উপর।”

মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিলতর হয়ে উঠছে, এবং সামান্য উসকানিতেই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বিশেষ করে যদি প্রতিবেশীরা একপাক্ষিক অবস্থান নেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি সংলাপ প্রত্যাখ্যান, সহায়তাকারীরাও রেহাই পাবে না: ইরান

আপডেট সময় ১১:৫৯:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

 

মার্কিন হুমকির মুখে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি আলোচনা বা হামলার চাপ প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে তেহরান স্পষ্টভাবে সতর্ক করে দিয়েছে যেসব প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করবে, তারা নিজেরাও হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।

একজন শীর্ষ ইরানি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার পরিবর্তে ওমানের মাধ্যমে আগের মতো পরোক্ষ সংলাপ চালিয়ে যেতে চায়। তার ভাষায়, “পরোক্ষ আলোচনার মাধ্যমেই বোঝা যাবে, যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক সমাধানে আসলেই আগ্রহী কি না।” তিনি আরও জানান, এই পথ কঠিন হলেও সম্ভব, যদি মার্কিন বার্তাগুলি সদর্থক হয়।

তেহরান এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশ ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন এবং তুরস্ককে সতর্ক করে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের আকাশসীমা বা ভূখণ্ড ব্যবহার করলে তা শত্রুতা হিসেবে গণ্য করা হবে। ইরানি কর্মকর্তার হুঁশিয়ারি “এ ধরনের সহযোগিতার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।” দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেই ইতোমধ্যে সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সামরিক তৎপরতা বাড়ছে। গাজা ও লেবাননে সংঘর্ষ, ইয়েমেনে হামলা, সিরিয়ায় নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রচেষ্টা এবং ইসরায়েল-ইরান টানাপোড়েন এই উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পারস্য উপসাগর ঘিরে থাকা রাজতান্ত্রিক দেশগুলো যারা মার্কিন ঘাঁটি গড়ে তুলেছে এখন নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।

এই প্রেক্ষাপটে কুয়েত ইরানকে আশ্বস্ত করেছে, তারা তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশের বিরুদ্ধে হামলার অনুমতি দেবে না। অন্যদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইরানের সতর্কবার্তা সম্পর্কে অবগত নয়, তবে অন্য কূটনৈতিক চ্যানেলে বার্তা পৌঁছাতে পারে।

ইরান তার ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়ার কাছ থেকেও সমর্থন চাইছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের জটিলতা এবং ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্যকে বিবেচনা করেই তেহরান সতর্ক পা ফেলছে। এক ইরানি কর্মকর্তা বলেন, “রাশিয়ার প্রতি আস্থা সীমিত, কারণ সবকিছু নির্ভর করছে ট্রাম্প-পুতিন সম্পর্কের গতিপথের উপর।”

মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিলতর হয়ে উঠছে, এবং সামান্য উসকানিতেই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বিশেষ করে যদি প্রতিবেশীরা একপাক্ষিক অবস্থান নেয়।