যুক্তরাষ্ট্রের লাগাতার বিমান হামলায় রক্তাক্ত ইয়েমেন, নারী-শিশুসহ নিহত ৪, আহত ২০

- আপডেট সময় ১১:৪৭:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
- / 20
যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক বিমান হামলায় আবারও কেঁপে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেন। রোববার (৬ এপ্রিল) রাজধানী সানাসহ বিভিন্ন এলাকায় চালানো ভয়াবহ হামলায় অন্তত চারজন নিহত ও নারী-শিশুসহ আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
আল-জাজিরার বরাতে ইয়েমেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সানার একটি আবাসিক ভবনে মার্কিন বিমান থেকে নিক্ষিপ্ত বোমায় নিহত হন চারজন। ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২০ জনকে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
একই দিন সানার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বনি মাতার জেলার আল-জাবাল আল-আসওয়াদ এলাকাতেও তিনটি বিমান হামলা চালানো হয়। তবে এসব হামলায় হতাহতের সংখ্যা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সাদা প্রদেশ। হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, সেখানে মার্কিন হামলায় তাদের অন্তত দুজন সদস্য নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন।
সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। ভিডিওটিতে দাবি করা হয়, হুতিদের একটি সমাবেশ লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তবে হুতি গোষ্ঠী ট্রাম্পের এ দাবিকে “মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর” আখ্যা দিয়ে বলেছে, “এই হামলা নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের ওপর চালানো হয়েছে।”
ইসরাইলের গাজা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে হুতি গোষ্ঠী। এর জেরেই তারা লোহিত সাগরে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। আর এই হুতি প্রতিশোধ ঠেকাতেই গত ১৫ মার্চ থেকে ইয়েমেনজুড়ে শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান। হোয়াইট হাউসের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত হুতিদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ২০০টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো এসব হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। নিরপরাধ মানুষদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ায় মানবিক সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।