ঢাকা ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাংলাদেশ ক্রিকেটকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিসিবি: আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশের জন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রযোজ্য নয়: সালাহউদ্দিন আহমদ চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনার খবর ভিত্তিহীন, ইরানের কড়া প্রতিবাদ ইসরায়েলি হামলায় ইরানের আইআরজিসি সদর দপ্তরে নিহত হয়েছিল ৪১ জন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৮১, ধ্বংসস্তূপে চলছে মরদেহ উদ্ধার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫ গাজায় ইসরাইলি অবরোধে অপুষ্টিতে ৬৬ শিশুর মৃত্যু জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মুরাদনগরে কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়: আসিফ মাহমুদ জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন

ইউক্রেনজুড়ে রুশ হামলার তাণ্ডব, যুদ্ধবিরতিতে অনড় পুতিন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 24

ছবি সংগৃহীত

 

রবিবার সকাল থেকেই ইউক্রেনের একাধিক শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাজধানী কিয়েভসহ চের্নিহিভ, মাইকোলাইভ ও ক্রিভি রিয়ায় বৃষ্টির মতো নেমেছে মিসাইল ও ড্রোন। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিসচিকো জানিয়েছেন, “এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সক্রিয় রয়েছে। তবে নাগরিকদের নিরাপদে ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।” আগুন লেগেছে কিছু বাড়ি ও গাড়িতে, যদিও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোতে কেউ বসবাস করতেন না বলে তিনি জানান।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর তথ্যমতে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাশিয়া ব্যাপকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। উত্তরের চের্নিহিভ এবং দক্ষিণের মাইকোলাইভ শহরে চালানো ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি। ভয়াবহ এক হামলায় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নিজ শহর ক্রিভি রিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৮ জন, যাদের মধ্যে ছিলেন নয়জন শিশু। মাত্র তিন বছরের এক শিশুও নিহত হয়েছে।

জবাবে ইউক্রেনও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার রাতে ইউক্রেনের পাঠানো ১১টি ড্রোন কুরস্ক, বেলগোরোদ ও রস্তভ অঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে। তবে রাশিয়া দাবি করেছে, এসব ড্রোন হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। একই সঙ্গে পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের দুইটি গ্রাম দখলের কথাও জানানো হয়।

এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি থাকলেও রাশিয়া এখনো নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহ দেখায়নি।” তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সক্রিয় ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে বলেন, “আমরা ইউরোপসহ শান্তিকামী দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করছি। রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগ জরুরি।”

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যদি রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে গড়িমসি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।” ম্যাখোঁ স্পষ্ট করে বলেন, “রাশিয়ার এই বর্বর হামলা বন্ধ হওয়া জরুরি। শিশুদের ওপর হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

বর্তমানে ইউক্রেনজুড়ে মানবিক বিপর্যয় আরও তীব্র হচ্ছে, আর শান্তির আশা যেন ক্রমেই অস্পষ্ট হয়ে উঠছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউক্রেনজুড়ে রুশ হামলার তাণ্ডব, যুদ্ধবিরতিতে অনড় পুতিন

আপডেট সময় ১১:৩২:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

রবিবার সকাল থেকেই ইউক্রেনের একাধিক শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাজধানী কিয়েভসহ চের্নিহিভ, মাইকোলাইভ ও ক্রিভি রিয়ায় বৃষ্টির মতো নেমেছে মিসাইল ও ড্রোন। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিসচিকো জানিয়েছেন, “এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সক্রিয় রয়েছে। তবে নাগরিকদের নিরাপদে ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।” আগুন লেগেছে কিছু বাড়ি ও গাড়িতে, যদিও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোতে কেউ বসবাস করতেন না বলে তিনি জানান।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর তথ্যমতে, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাশিয়া ব্যাপকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। উত্তরের চের্নিহিভ এবং দক্ষিণের মাইকোলাইভ শহরে চালানো ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি। ভয়াবহ এক হামলায় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নিজ শহর ক্রিভি রিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৮ জন, যাদের মধ্যে ছিলেন নয়জন শিশু। মাত্র তিন বছরের এক শিশুও নিহত হয়েছে।

জবাবে ইউক্রেনও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার রাতে ইউক্রেনের পাঠানো ১১টি ড্রোন কুরস্ক, বেলগোরোদ ও রস্তভ অঞ্চলে ধ্বংস করা হয়েছে। তবে রাশিয়া দাবি করেছে, এসব ড্রোন হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। একই সঙ্গে পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের দুইটি গ্রাম দখলের কথাও জানানো হয়।

এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে রাজি থাকলেও রাশিয়া এখনো নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহ দেখায়নি।” তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সক্রিয় ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে বলেন, “আমরা ইউরোপসহ শান্তিকামী দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করছি। রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগ জরুরি।”

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “যদি রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে গড়িমসি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।” ম্যাখোঁ স্পষ্ট করে বলেন, “রাশিয়ার এই বর্বর হামলা বন্ধ হওয়া জরুরি। শিশুদের ওপর হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

বর্তমানে ইউক্রেনজুড়ে মানবিক বিপর্যয় আরও তীব্র হচ্ছে, আর শান্তির আশা যেন ক্রমেই অস্পষ্ট হয়ে উঠছে।