ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাকিস্তান সীমান্তে ধরা পড়লো তুরস্কের শীর্ষ আইএস নেতা, ভেস্তে গেল বড় হামলার ছক শিশুর পুষ্টি ও দুগ্ধশিল্পের অগ্রগতিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটি বিধ্বস্ত, দাবি ৪০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের গা/জা/য় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের হামলা, নিহত অন্তত ৫০ শীর্ষে রেমিট্যান্সের ধারা: মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ২৯৭ কোটি ডলার বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করতে অপপ্রচারে লিপ্ত কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম: সেনাবাহিনী রাজস্ব খাতে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’দের সরিয়ে দিল পুলিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া আর উৎসবের রঙ নিয়ে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হলো ড্রাগন বোট ফেস্টিভাল দুধ শুধু পণ্য নয়, আমাদের সংস্কৃতির অংশ: ফরিদা আখতার সিলেট-মৌলভীবাজারে বন্যার প্রকোপ, বাড়ছে নদ-নদীর পানি

ভারতে বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ, চার দিনে আক্রান্ত ১৭শ’র বেশি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি: সংগৃহীত

 

ভারতে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার। সরকারী হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে প্রায় ৩,০০০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কেরালায়, এরপর রয়েছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লি।

শনিবার (৩১ মে) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ মে পর্যন্ত দেশে মোট ১,০১০ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ৩০ মে পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,৭১০ জনে। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেরালায় সর্বোচ্চ ১,১৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে ৪২৪ জন এবং দিল্লিতে ২৯৪ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। গুজরাটে এই সংখ্যা ২২৩ জন। তামিলনাড়ুতে ১৪৮ জন, কর্ণাটকে ১৪৮ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ১১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এছাড়া, রাজস্থানে ৫১ জন, উত্তরপ্রদেশে ৪২ জন, পুদুচেরিতে ২৫ জন, এবং হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও গোয়াতেও সংক্রমণের খবর রেকর্ড করা হয়েছে। ওড়িশা, পাঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরেও করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে আন্দামান ও নিকোবর, সিকিম এবং হিমাচল প্রদেশে এখনো পর্যন্ত কোনো সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি।

সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ভারতজুড়ে করোনাভাইরাসে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, যারা কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য গুরুতর রোগে ভুগছিলেন। যদিও বাকিদের মৃত্যুর কারণ সরাসরি করোনা সংক্রমণ কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, মারা যাওয়াদের অধিকাংশই প্রবীণ নাগরিক। পাঞ্জাবের একজন ছাড়া বাকিরা সবাই বয়সভিত্তিক ঝুঁকিতে ছিলেন।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত করোনার যে কেসগুলো পাওয়া গেছে, তা বেশিরভাগই হালকা প্রকৃতির। ফলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

এই সপ্তাহের শুরুতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর মহাপরিচালক ড. রাজীব বাহল বলেন, “কোভিড-১৯-এর নতুন রূপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে সাবধান থাকা জরুরি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে।”

তিনি আরও বলেন, “যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমন ক্যান্সার রোগী, তাদের প্রতি আমরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছি।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতে বাড়ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ, চার দিনে আক্রান্ত ১৭শ’র বেশি

আপডেট সময় ০৬:০৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

ভারতে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার। সরকারী হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে প্রায় ৩,০০০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কেরালায়, এরপর রয়েছে মহারাষ্ট্র ও দিল্লি।

শনিবার (৩১ মে) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ মে পর্যন্ত দেশে মোট ১,০১০ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ৩০ মে পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,৭১০ জনে। মাত্র চার দিনের ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেরালায় সর্বোচ্চ ১,১৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মহারাষ্ট্রে ৪২৪ জন এবং দিল্লিতে ২৯৪ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। গুজরাটে এই সংখ্যা ২২৩ জন। তামিলনাড়ুতে ১৪৮ জন, কর্ণাটকে ১৪৮ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ১১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এছাড়া, রাজস্থানে ৫১ জন, উত্তরপ্রদেশে ৪২ জন, পুদুচেরিতে ২৫ জন, এবং হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও গোয়াতেও সংক্রমণের খবর রেকর্ড করা হয়েছে। ওড়িশা, পাঞ্জাব ও জম্মু-কাশ্মীরেও করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে আন্দামান ও নিকোবর, সিকিম এবং হিমাচল প্রদেশে এখনো পর্যন্ত কোনো সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি।

সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ভারতজুড়ে করোনাভাইরাসে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে, যারা কোভিড-১৯ ছাড়াও অন্যান্য গুরুতর রোগে ভুগছিলেন। যদিও বাকিদের মৃত্যুর কারণ সরাসরি করোনা সংক্রমণ কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, মারা যাওয়াদের অধিকাংশই প্রবীণ নাগরিক। পাঞ্জাবের একজন ছাড়া বাকিরা সবাই বয়সভিত্তিক ঝুঁকিতে ছিলেন।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত করোনার যে কেসগুলো পাওয়া গেছে, তা বেশিরভাগই হালকা প্রকৃতির। ফলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

এই সপ্তাহের শুরুতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর মহাপরিচালক ড. রাজীব বাহল বলেন, “কোভিড-১৯-এর নতুন রূপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে সাবধান থাকা জরুরি। সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখেছে।”

তিনি আরও বলেন, “যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমন ক্যান্সার রোগী, তাদের প্রতি আমরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছি।”