ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

ক্যান্সার চিকিৎসায় বায়োটেক প্রযুক্তিতে সমাধানের আশায় দেশীয় ওষুধ শিল্প

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 30

ছবি সংগৃহীত

 

দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ও চিকিৎসা ব্যয়। উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত স্বীকৃতির পর এই ব্যয় আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই অবস্থায় ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা সহজ ও সুলভ করতে বায়োটেকনোলজি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে, এই উদ্যোগ সফল করতে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৪৫৮ জন নতুন ক্যান্সার রোগী শনাক্ত হচ্ছেন এবং ৩১৯ জন মারা যাচ্ছেন। ওরাল, ব্রেস্টসহ অন্তত ৩২ ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন এসব রোগী।

দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো বলছে, বায়োটেক প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবাণু বা কোষ থেকে ওষুধ উৎপাদন করা সম্ভব, যা ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহার হবে। এই পদ্ধতি তুলনামূলকভাবে কার্যকর ও সাশ্রয়ী।

ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, “ক্যামিকেল ওষুধ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ধারা এখন বায়োটেকনোলজির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।”

উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, দেশে ওষুধের চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ পূরণ করা হলেও, উদ্ভাবনে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে। উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেলে, আন্তর্জাতিক পেটেন্ট আইন মেনে চলতে হবে, যা চিকিৎসার ব্যয় আরও বাড়িয়ে দেবে।

ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা ক্যান্সারের জন্য একটি আধুনিক প্ল্যান্ট স্থাপন করেছি। একাধিক দেশের সাথে রফতানি সক্ষমতাও তৈরি হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, দেশের মানুষ যেন কম দামে ভালো ওষুধ পায়।”

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশেই উন্নত ওষুধ উৎপাদন বাড়লে বিদেশি ওষুধের ওপর নির্ভরতা কমবে এবং সাধারণ মানুষ সাশ্রয়ী চিকিৎসা সেবা পাবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বেনজির আহমেদ বলেন, “ক্যান্সারসহ জটিল রোগের ওষুধ উৎপাদনে আমরা এখনও পিছিয়ে আছি। সরকারের উচিত এসব উদ্যোগকে পৃষ্ঠপোষকতা করা। এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন সম্ভাবনাও তৈরি হবে।”

বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দেড় শতাধিক কারখানায় প্রায় ৫ হাজার ব্রান্ডের ৮ হাজারেরও বেশি ওষুধ উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু জটিল রোগের চিকিৎসায় নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করতে হলে দরকার সমন্বিত প্রচেষ্টা ও সরকারের দৃঢ় নীতি সহায়তা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্যান্সার চিকিৎসায় বায়োটেক প্রযুক্তিতে সমাধানের আশায় দেশীয় ওষুধ শিল্প

আপডেট সময় ০৪:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ও চিকিৎসা ব্যয়। উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত স্বীকৃতির পর এই ব্যয় আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই অবস্থায় ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা সহজ ও সুলভ করতে বায়োটেকনোলজি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ শুরু করেছে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে, এই উদ্যোগ সফল করতে সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৪৫৮ জন নতুন ক্যান্সার রোগী শনাক্ত হচ্ছেন এবং ৩১৯ জন মারা যাচ্ছেন। ওরাল, ব্রেস্টসহ অন্তত ৩২ ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন এসব রোগী।

দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো বলছে, বায়োটেক প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবাণু বা কোষ থেকে ওষুধ উৎপাদন করা সম্ভব, যা ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহার হবে। এই পদ্ধতি তুলনামূলকভাবে কার্যকর ও সাশ্রয়ী।

ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, “ক্যামিকেল ওষুধ থেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ধারা এখন বায়োটেকনোলজির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।”

উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, দেশে ওষুধের চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ পূরণ করা হলেও, উদ্ভাবনে বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে। উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেলে, আন্তর্জাতিক পেটেন্ট আইন মেনে চলতে হবে, যা চিকিৎসার ব্যয় আরও বাড়িয়ে দেবে।

ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা ক্যান্সারের জন্য একটি আধুনিক প্ল্যান্ট স্থাপন করেছি। একাধিক দেশের সাথে রফতানি সক্ষমতাও তৈরি হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, দেশের মানুষ যেন কম দামে ভালো ওষুধ পায়।”

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশেই উন্নত ওষুধ উৎপাদন বাড়লে বিদেশি ওষুধের ওপর নির্ভরতা কমবে এবং সাধারণ মানুষ সাশ্রয়ী চিকিৎসা সেবা পাবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বেনজির আহমেদ বলেন, “ক্যান্সারসহ জটিল রোগের ওষুধ উৎপাদনে আমরা এখনও পিছিয়ে আছি। সরকারের উচিত এসব উদ্যোগকে পৃষ্ঠপোষকতা করা। এতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন সম্ভাবনাও তৈরি হবে।”

বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দেড় শতাধিক কারখানায় প্রায় ৫ হাজার ব্রান্ডের ৮ হাজারেরও বেশি ওষুধ উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু জটিল রোগের চিকিৎসায় নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করতে হলে দরকার সমন্বিত প্রচেষ্টা ও সরকারের দৃঢ় নীতি সহায়তা।