ইয়ামালের ও রাফিনিয়া জাদুতে ৩-১ গোলে সহজ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার
লামিনে ইয়ামাল মানেই রেকর্ড! বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী এই বিস্ময় বালক আজ শুধু নিজেই ইতিহাস লেখেননি, রেকর্ড গড়তে সহায়তা করেছেন রাফিনিয়াকেও।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে বেনফিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক রাত কাটিয়েছে বার্সেলোনা। নিজেদের মাঠে ৩-১ গোলে সহজ জয় তুলে নিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে কাতালানরা।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ আটে ওঠা প্রথম দল বার্সেলোনা। সেমিফাইনালের টিকিট পেতে তাদের লড়তে হবে ডর্টমুন্ড ও লিলের মধ্যকার বিজয়ীর সঙ্গে। গত সপ্তাহে বেনফিকার মাঠে ১০ জন নিয়েও ১-০ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছিল বার্সা। আজ ক্যাম্প ন্যুতে স্রেফ সেই লিড ধরে রাখলেই চলত, কিন্তু ইয়ামাল-রাফিনিয়া জুটি তাতে সন্তুষ্ট হলে তো!
ম্যাচের শুরু থেকেই বার্সেলোনা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। মাত্র ১১ মিনিটেই আসে প্রথম গোল। ইয়ামাল বক্সে ঢুকে নিখুঁত পাস বাড়ান রাফিনিয়াকে, যিনি এক মুহূর্তও দেরি না করে ভলিতে বল জালে পাঠিয়ে দেন। এটি এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে রাফিনিয়ার ১০তম গোল। তবে দুই মিনিট পরেই বেনফিকা সমতায় ফেরে। নিকোলাস ওতামেন্দির হেড ঠেকাতে পারেননি বার্সা গোলরক্ষক সেজনি। কিন্তু বার্সা বেশিক্ষণ সমতায় থাকেনি।
২৭তম মিনিটে আসে ইয়ামালের জাদুকরী গোল। রাফিনিয়ার ক্রস লেভানডফস্কি মিস করলেও ইয়ামাল সেটি ধরে রাখেন। ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বক্সের বাইরে এসে বাঁ পায়ে দূরের পোস্টে চমৎকার এক শট নেন। গোলকিপারের কিছুই করার ছিল না! এই গোলের সুবাদে ১৭ বছর ২৪১ দিন বয়সে চ্যাম্পিয়নস লিগের একই ম্যাচে গোল এবং অ্যাসিস্ট করা সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়ের রেকর্ড গড়লেন ইয়ামাল। ভেঙে দিলেন ব্রিল এমবোলোর ২০১৪ সালের রেকর্ড (১৭ বছর ২৬৩ দিন)।
৪২তম মিনিটে আসে রাফিনিয়ার দ্বিতীয় গোল, যা তাকে পৌঁছে দেয় আরেকটি রেকর্ডে। আলেহান্দ্রো বালদে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান, গোলমুখে রাফিনিয়াকে বাড়িয়ে দিলে ব্রাজিলিয়ান তারকা অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন। এটি চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর ১১তম গোল, যা কোনো ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের এক আসরে করা সর্বোচ্চ গোল! নেইমার, রিভালদোসহ পাঁচজনের সর্বোচ্চ ছিল ১০ গোল, যা এবার ছাড়িয়ে গেলেন রাফিনিয়া।
প্রথমার্ধেই ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি। ৬৫তম মিনিটে ডি ইয়ং নিশ্চিত সুযোগ হাতছাড়া করেন। তবে জয় নিশ্চিত করতে সেটি কোনো বাধা হয়নি।
দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে নামবে বার্সেলোনা। এবার তাদের সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ।