ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাগরিকার হ্যাটট্রিক: শ্রীলঙ্কাকে গোলবন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ: পাবনায় ১০ নেতাকর্মীর বহিষ্কার কর্ণফুলী ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আগুন নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিটের অভিযান চারদিন সাগরে ভেসে থাকা ৯ জেলেকে উদ্ধার: এখনও নিখোঁজ ৩ বাংলাদেশে প্রথমবার মুক্তি পাচ্ছে নেপালি ছবি: ‘ন ডরাই’ এর বিনিময়ে ফয়জুল করীম: ‘দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’ বিশ্বাসীদের কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন আজ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন হাসপাতাল নিতে বলায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা: আতঙ্কজনক ঘটনা ডেঙ্গু আতঙ্ক: মৃত্যু ২, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৭

কর্ণফুলী ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আগুন নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিটের অভিযান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:১৭:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
  • / 0

ছবি সংগৃহীত

 

 

কর্ণফুলী ইপিজেডের একটি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যা স্থানীয় শিল্প এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে শুরু হওয়া এই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এর ভয়াবহতা বাড়াতে থাকে। তবে, ৮টি ফায়ার ইউনিটের তৎপরতায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, কারখানার একটি যন্ত্রপাতি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কারখানার কর্মীরা দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। উদ্ধারকারীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করার পর, তারা অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল হন। তবে, এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

অগ্নিকাণ্ডের ফলে কারখানার বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে এবং অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, তবে এটি উল্লেখযোগ্য বলে মনে হচ্ছে। কারখানার মালিক ও কর্মচারীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

এই ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে, যা তাদের ব্যবসার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

কর্ণফুলী ইপিজেডের এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড একটি উদ্বেগজনক ঘটনা। ৮ ইউনিটের অক্লান্ত পরিশ্রমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও, ক্ষতির পরিমাণ এখনও অজানা। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত তদন্ত করা এবং ভবিষ্যতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এটি শুধুমাত্র কারখানার কর্মীদের নিরাপত্তা নয়, বরং পুরো এলাকার নিরাপত্তার জন্যও অত্যন্ত জরুরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

কর্ণফুলী ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: আগুন নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিটের অভিযান

আপডেট সময় ০৭:১৭:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

 

 

কর্ণফুলী ইপিজেডের একটি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যা স্থানীয় শিল্প এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে শুরু হওয়া এই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এর ভয়াবহতা বাড়াতে থাকে। তবে, ৮টি ফায়ার ইউনিটের তৎপরতায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, কারখানার একটি যন্ত্রপাতি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কারখানার কর্মীরা দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। উদ্ধারকারীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু করেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করার পর, তারা অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল হন। তবে, এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

অগ্নিকাণ্ডের ফলে কারখানার বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে এবং অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, তবে এটি উল্লেখযোগ্য বলে মনে হচ্ছে। কারখানার মালিক ও কর্মচারীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

এই ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা জানান, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্থানীয় জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে, যা তাদের ব্যবসার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

কর্ণফুলী ইপিজেডের এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড একটি উদ্বেগজনক ঘটনা। ৮ ইউনিটের অক্লান্ত পরিশ্রমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও, ক্ষতির পরিমাণ এখনও অজানা। কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত তদন্ত করা এবং ভবিষ্যতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এটি শুধুমাত্র কারখানার কর্মীদের নিরাপত্তা নয়, বরং পুরো এলাকার নিরাপত্তার জন্যও অত্যন্ত জরুরি।