‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ — যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
 
																
								
							
                                - আপডেট সময় ১২:২৩:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
- / 41
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় চালুর নির্দেশের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাগচি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ বলে আখ্যা দিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে ‘পশ্চাদমুখী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। খবর প্রেস টিভির।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে আরাগচি বলেন, ওয়াশিংটন তাদের ‘প্রতিরক্ষা বিভাগ’-এর নাম পরিবর্তন করে কার্যত ‘যুদ্ধ বিভাগে’ রূপ দিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত চরিত্র প্রকাশ করে।
আরাগচি বলেন,
এই দখলদার রাষ্ট্রই ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিকে অপবাদ দিচ্ছে এবং আমাদের নিরাপদ স্থাপনাগুলোতে হামলার হুমকি দিচ্ছে— যা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ‘ভণ্ডামি’র নিন্দা জানিয়ে আরও বলেন,
একদিকে তারা ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির সমালোচনা করছে, অন্যদিকে নিজেরাই পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার পথ বেছে নিচ্ছে— যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি।
আরাগচি সতর্ক করে বলেন,
“ভুল করবেন না— যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিস্তার-ঝুঁকি। তাদের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করবে।”
এর আগে, বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেন্টাগনকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছিলেন,
“অন্য দেশগুলোর পরীক্ষামূলক কর্মসূচির কারণে আমি প্রতিরক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি, আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষাও পুনরায় শুরু করতে।”
তিনি আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড়, রাশিয়া রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে, আর চীন ‘অনেক পিছিয়ে’ তৃতীয় স্থানে আছে।
ইরান মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত শুধু আঞ্চলিক নয়, বরং বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্যও এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
 
																			 
																		 
										


















