১১:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

হামাস প্রথম দফায় ৭ জন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি দিচ্ছে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

গাজা উপত্যকায় আটক থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৮টার কিছু পরে প্রথম দফায় সাতজন জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করলেও, এখনও মুক্তিপ্রাপ্তদের নাম বা পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া ইসরায়েল সরকার বা সেনাবাহিনী থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

মুক্তি প্রক্রিয়াটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে গঠিত যুদ্ধবিরতি ও শান্তি পরিকল্পনার অংশ। গত শুক্রবার গাজায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিনে এই প্রথম ধাপে জিম্মিদের মুক্তি শুরু হলো। পরিকল্পনার মূল তিন শর্ত হলো— ইসরায়েলের সামরিক অভিযান স্থগিত রাখা, সেনাদের নির্দিষ্ট সীমান্ত পর্যন্ত সরিয়ে আনা এবং জিম্মি ও বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করা।

একই সময়ে মিসরের শারম আল-শেখ শহরে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন শুরু হচ্ছে, যেখানে ট্রাম্প ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গঠিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারেন। এটি গাজা যুদ্ধ বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে। দুই বছরের দীর্ঘ সময়ের পর এখনও ৪৮ জন জিম্মি গাজায় অবস্থান করছে। হামাস জানায়, তাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত এবং বাকি ২৮ জন মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তার কারাগারে বন্দি থাকা ১,৯৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এবং ২২ জন শিশু রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

হামাস প্রথম দফায় ৭ জন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি দিচ্ছে

আপডেট সময় ০২:৪৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

 

গাজা উপত্যকায় আটক থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৮টার কিছু পরে প্রথম দফায় সাতজন জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো এই তথ্য নিশ্চিত করলেও, এখনও মুক্তিপ্রাপ্তদের নাম বা পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া ইসরায়েল সরকার বা সেনাবাহিনী থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

মুক্তি প্রক্রিয়াটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে গঠিত যুদ্ধবিরতি ও শান্তি পরিকল্পনার অংশ। গত শুক্রবার গাজায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিনে এই প্রথম ধাপে জিম্মিদের মুক্তি শুরু হলো। পরিকল্পনার মূল তিন শর্ত হলো— ইসরায়েলের সামরিক অভিযান স্থগিত রাখা, সেনাদের নির্দিষ্ট সীমান্ত পর্যন্ত সরিয়ে আনা এবং জিম্মি ও বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করা।

একই সময়ে মিসরের শারম আল-শেখ শহরে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন শুরু হচ্ছে, যেখানে ট্রাম্প ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গঠিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারেন। এটি গাজা যুদ্ধ বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে। দুই বছরের দীর্ঘ সময়ের পর এখনও ৪৮ জন জিম্মি গাজায় অবস্থান করছে। হামাস জানায়, তাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত এবং বাকি ২৮ জন মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তার কারাগারে বন্দি থাকা ১,৯৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এবং ২২ জন শিশু রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি