ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / 8

ছবি সংগৃহীত

 

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত ফজর আলী এবং ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে সম্পৃক্ত অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু। তারা সবাই মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে হোমনা থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক নারীকে কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ফজর আলী ধর্ষণ করে। এসময় আশপাশের কয়েকজন যুবক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে এবং পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

ঘটনার পর স্থানীয়দের কাছে গণপিটুনির শিকার হয়ে পালিয়ে যায় ফজর আলী। পরে ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, ধর্ষণ মামলা ছাড়াও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আলাদা আরেকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতিমধ্যেই ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, “মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে জড়িত বাকি চারজনকে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা পুনরায় না ঘটে। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশের এ অভিযান দ্রুত সফল হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ঘটনায় মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

আপডেট সময় ১০:৫৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

 

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৯ জুন) সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত ফজর আলী এবং ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে সম্পৃক্ত অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু। তারা সবাই মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে হোমনা থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক নারীকে কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ফজর আলী ধর্ষণ করে। এসময় আশপাশের কয়েকজন যুবক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে এবং পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

ঘটনার পর স্থানীয়দের কাছে গণপিটুনির শিকার হয়ে পালিয়ে যায় ফজর আলী। পরে ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, ধর্ষণ মামলা ছাড়াও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আলাদা আরেকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতিমধ্যেই ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, “মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার সাথে জড়িত বাকি চারজনকে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা পুনরায় না ঘটে। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশের এ অভিযান দ্রুত সফল হয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।