ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুন্দরবন রক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট কনক্রিট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি: শিক্ষা উপদেষ্টা দেশীয় গবাদি পশু বিশ্বমানে উন্নীত করা সম্ভব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এমপি গ্রেপ্তার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা: প্রেসসচিব ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেয়ার বাজার কারসাজি: সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে বড় সংগ্রহের পথে টাইগাররা ডেঙ্গু তাণ্ডব অব্যাহত: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪৪, বরিশালে সর্বোচ্চ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নেই: এনসিপি

সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ৬০০ ফাঁদ ও নিষিদ্ধ কাঁকড়া চারু জব্দ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

সুন্দরবনের অভ্যন্তরে হরিণ শিকারে ব্যবহৃত প্রায় ৬০০টি ফাঁদ এবং কাঁকড়া ধরার নিষিদ্ধ ১৬টি চারু জব্দ করেছে বনবিভাগ। সোমবার (গতকাল) পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির টিয়ারচর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, দুবলা জেলে পল্লীর পাশে কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির আওতাধীন টিয়ারচর এলাকায় নিয়মিত টহলে ছিলেন বনপ্রহরীরা। নৌকা ও পায়ে হেঁটে দেওয়া ওই টহলের সময় বনের ভেতরে চোরা শিকারীদের পেতে রাখা হরিণ শিকারের গোলাকৃতি ফাঁদগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় মোট ৬০০টি ফাঁদ এবং একই স্থানে পাওয়া যায় ১৬টি নিষিদ্ধ কাঁকড়া ধরার চারু।

এর আগেও সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ফাঁদ জব্দ করে বনপ্রহরীরা। গত ৬ জুন ঢাংমারী স্টেশনের হুলার ভারানী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ৮২টি গোল ফাঁদ। একই দিনে নন্দবালা টহল ফাঁড়ির আওতাধীন সূর্যমুখী খাল এলাকা থেকে জব্দ করা হয় আরও ৫৩টি ফাঁদ। এছাড়া, ১০ জুন সুপতি স্টেশনের শাপলা ক্যাম্পের ছোট সিন্দুক বারিয়া খাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বনরক্ষীরা উদ্ধার করেন হরিণ শিকারের জন্য পাতা ৪৫০টি ফাঁদ।

বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, “বনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এবং চোরাশিকার রোধে আমাদের টহল কার্যক্রম প্রতিদিনই চলছে। বন অপরাধ দমনে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের এই কঠোর অবস্থান বজায় থাকলে সুন্দরবনের বনসম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে।”

বনবিভাগের এই নিয়মিত অভিযান ও তৎপরতায় চোরা শিকারিরা যেমন চাপের মুখে পড়েছে, তেমনি বনের প্রাণীজ সম্পদও পাচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা। সুন্দরবনের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বনবিভাগের এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ৬০০ ফাঁদ ও নিষিদ্ধ কাঁকড়া চারু জব্দ

আপডেট সময় ০৪:৫৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

 

সুন্দরবনের অভ্যন্তরে হরিণ শিকারে ব্যবহৃত প্রায় ৬০০টি ফাঁদ এবং কাঁকড়া ধরার নিষিদ্ধ ১৬টি চারু জব্দ করেছে বনবিভাগ। সোমবার (গতকাল) পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির টিয়ারচর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, দুবলা জেলে পল্লীর পাশে কোকিলমনি টহল ফাঁড়ির আওতাধীন টিয়ারচর এলাকায় নিয়মিত টহলে ছিলেন বনপ্রহরীরা। নৌকা ও পায়ে হেঁটে দেওয়া ওই টহলের সময় বনের ভেতরে চোরা শিকারীদের পেতে রাখা হরিণ শিকারের গোলাকৃতি ফাঁদগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় মোট ৬০০টি ফাঁদ এবং একই স্থানে পাওয়া যায় ১৬টি নিষিদ্ধ কাঁকড়া ধরার চারু।

এর আগেও সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ফাঁদ জব্দ করে বনপ্রহরীরা। গত ৬ জুন ঢাংমারী স্টেশনের হুলার ভারানী এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ৮২টি গোল ফাঁদ। একই দিনে নন্দবালা টহল ফাঁড়ির আওতাধীন সূর্যমুখী খাল এলাকা থেকে জব্দ করা হয় আরও ৫৩টি ফাঁদ। এছাড়া, ১০ জুন সুপতি স্টেশনের শাপলা ক্যাম্পের ছোট সিন্দুক বারিয়া খাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে বনরক্ষীরা উদ্ধার করেন হরিণ শিকারের জন্য পাতা ৪৫০টি ফাঁদ।

বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী আরও বলেন, “বনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এবং চোরাশিকার রোধে আমাদের টহল কার্যক্রম প্রতিদিনই চলছে। বন অপরাধ দমনে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। আমাদের এই কঠোর অবস্থান বজায় থাকলে সুন্দরবনের বনসম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে।”

বনবিভাগের এই নিয়মিত অভিযান ও তৎপরতায় চোরা শিকারিরা যেমন চাপের মুখে পড়েছে, তেমনি বনের প্রাণীজ সম্পদও পাচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা। সুন্দরবনের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বনবিভাগের এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা।