ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
চট্টগ্রাম বন্দরে সচল আমদানি-রফতানি কার্যক্রম, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের পাশাপাশি জন্ম নেওয়া সন্তানদেরও বিতাড়িত করা উচিত: রিপাবলিকান সিনেটর আগামীকাল মঙ্গলবার ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে ভারতে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৫, আহত ১৫ সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস উল্টে ৬ শিশুসহ আহত অন্তত ২০ শহিদ আবু সাঈদ হত্যা মামলা: সাবেক ভিসি হাসিবুরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাকিস্তান টেস্ট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেলেন আজহার মাহমুদ স্থলবন্দরে রয়েছে নিরাপত্তায় ঘাটতি, আছে চোরাচালানের অভিযোগ: নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর

ক্রিকেট, সিনেমার পর এবার রাজনীতির মাঠের দিকে নজর ডেভিড ওয়ার্নারের!

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 34

ছবি: সংগৃহীত

 

ক্রিকেটের মাঠ কাঁপিয়েছেন, নাম লিখিয়েছেন অভিনয়েও। এবার সম্পূর্ণ নতুন ইনিংসের দিকে নজর অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। এমন ঘোষণায় ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ ও আলোচনা।

আগামী ২৮ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে ডেভিড ওয়ার্নার অভিনীত ভারতীয় একটি সিনেমা। তবে সিনেমার পর এবার রাজনীতির মাঠে নামার সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছেন ওয়ার্নার। সামাজিক মাধ্যম এক্সে সোমবার তিনি লেখেন, ‘আমার মনে হয় এবার সংসদ সদস্য হওয়া উচিত। আপনারা কী বলেন?’

ওয়ার্নারের এই পোস্টের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড় বইছে। দীর্ঘদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে খেলার সুবাদে ওয়ার্নারের ভারতীয় ভক্তসংখ্যা বিশাল। অনেক ভারতীয় ভক্তই মজা করে জানতে চান, ওয়ার্নার ভারত নাকি অস্ট্রেলিয়ার সংসদে যোগ দিতে চান!

তবে অনেকে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গেও ভাবছেন। স্টিভ অ্যান্ডারসন নামের এক অস্ট্রেলিয়ান ভক্ত লিখেছেন, ‘আপনি কি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে চান? সেক্ষেত্রে আপনার একজন ভালো ম্যানেজার, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং অর্থ লাগবে। আপনার পরিচিতি ভালো থাকায় এসব হয়তো কিছুটা সহজ হতে পারে। তবে আপনি চাইলে বড় দলগুলোর বাইরে সিনেটেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।’

এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওয়ার্নার জানান, ‘আপনার কথাগুলো ভালো লেগেছে। আসলে মানুষ কী চায়, সেটিই প্রধান বিষয়। কম আয়কর, মানুষের হাতে বেশি অর্থ থাকা, নাকি জিএসটি বাড়ানো কোন পথে গেলে দেশের জন্য ভালো হবে, আমি নিশ্চিত নই। তবে আমাদের অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার পণ্যকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে।’

ওয়ার্নারের আগে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়াবিদদের মধ্যে রাজনীতিতে আসার উদাহরণ আছে। রাগবি লিগের কিংবদন্তি গ্লেন লাজারাস ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সিনেটর ছিলেন। তবে তাঁরই সতীর্থ ম্যাল মেনিঙ্গা রাজনীতিতে এসে প্রথম রেডিও সাক্ষাৎকারেই বিব্রত হয়ে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।

ক্রিকেট, সিনেমা থেকে সরাসরি রাজনীতির মাঠে নাম লেখালে সেটি হবে ওয়ার্নারের জন্য সম্পূর্ণ নতুন একটি চ্যালেঞ্জ। এখন দেখার বিষয়, রাজনীতির কঠিন মাঠে তিনি কতটা সফল হন!

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্রিকেট, সিনেমার পর এবার রাজনীতির মাঠের দিকে নজর ডেভিড ওয়ার্নারের!

আপডেট সময় ০১:১৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

ক্রিকেটের মাঠ কাঁপিয়েছেন, নাম লিখিয়েছেন অভিনয়েও। এবার সম্পূর্ণ নতুন ইনিংসের দিকে নজর অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। এমন ঘোষণায় ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ ও আলোচনা।

আগামী ২৮ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে ডেভিড ওয়ার্নার অভিনীত ভারতীয় একটি সিনেমা। তবে সিনেমার পর এবার রাজনীতির মাঠে নামার সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছেন ওয়ার্নার। সামাজিক মাধ্যম এক্সে সোমবার তিনি লেখেন, ‘আমার মনে হয় এবার সংসদ সদস্য হওয়া উচিত। আপনারা কী বলেন?’

ওয়ার্নারের এই পোস্টের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড় বইছে। দীর্ঘদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে খেলার সুবাদে ওয়ার্নারের ভারতীয় ভক্তসংখ্যা বিশাল। অনেক ভারতীয় ভক্তই মজা করে জানতে চান, ওয়ার্নার ভারত নাকি অস্ট্রেলিয়ার সংসদে যোগ দিতে চান!

তবে অনেকে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গেও ভাবছেন। স্টিভ অ্যান্ডারসন নামের এক অস্ট্রেলিয়ান ভক্ত লিখেছেন, ‘আপনি কি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে চান? সেক্ষেত্রে আপনার একজন ভালো ম্যানেজার, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং অর্থ লাগবে। আপনার পরিচিতি ভালো থাকায় এসব হয়তো কিছুটা সহজ হতে পারে। তবে আপনি চাইলে বড় দলগুলোর বাইরে সিনেটেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।’

এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওয়ার্নার জানান, ‘আপনার কথাগুলো ভালো লেগেছে। আসলে মানুষ কী চায়, সেটিই প্রধান বিষয়। কম আয়কর, মানুষের হাতে বেশি অর্থ থাকা, নাকি জিএসটি বাড়ানো কোন পথে গেলে দেশের জন্য ভালো হবে, আমি নিশ্চিত নই। তবে আমাদের অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার পণ্যকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে।’

ওয়ার্নারের আগে অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়াবিদদের মধ্যে রাজনীতিতে আসার উদাহরণ আছে। রাগবি লিগের কিংবদন্তি গ্লেন লাজারাস ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সিনেটর ছিলেন। তবে তাঁরই সতীর্থ ম্যাল মেনিঙ্গা রাজনীতিতে এসে প্রথম রেডিও সাক্ষাৎকারেই বিব্রত হয়ে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।

ক্রিকেট, সিনেমা থেকে সরাসরি রাজনীতির মাঠে নাম লেখালে সেটি হবে ওয়ার্নারের জন্য সম্পূর্ণ নতুন একটি চ্যালেঞ্জ। এখন দেখার বিষয়, রাজনীতির কঠিন মাঠে তিনি কতটা সফল হন!