অ্যাভাটার ৩: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ”: এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা, দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে
হলিউডের অন্যতম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘অ্যাভাটার’ এর তৃতীয় কিস্তি, ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে। জেমস ক্যামেরুনের পরিচালনায় মুক্তিপ্রাপ্ত পূর্ববর্তী দুটি সিনেমা আয়ের দিক থেকে বিশ্বরেকর্ড করেছে, আর নতুন এই সিনেমা নিয়ে ইতোমধ্যেই দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে।
আগামী সিনেমার শো টাইম আগের দুটি সিনেমার তুলনায় আরও দীর্ঘ হতে চলেছে। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া প্রথম ‘অ্যাভাটার’ ছিল ১৬২ মিনিট, এরপর ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ মুক্তি পায় ১৯২ মিনিট দৈর্ঘ্যে। তবে তৃতীয় কিস্তি আরও বড় হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্যামেরন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “এবার শো টাইম বৃদ্ধি পায় কারণ আমার মাথায় অনেক আইডিয়া জমে ছিল। প্রথমে সিনেমাটি দ্রুত গতিতে এগোচ্ছিল, কিন্তু চরিত্রগুলোর গভীরতা বিশ্লেষণ করতে পারছিলাম না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, চরিত্রগুলোর প্রতি আরও মনোযোগ দিতে হবে।”
চিত্রনাট্যকার আমান্ডা সিলভারও এই সিনেমার ব্যাপারে বেশ উৎসাহী। তিনি বলেন, “‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ হবে একটি ভিন্ন ধরনের সিনেমা। এটি শুধু অ্যাকশন বা ভিজ্যুয়াল স্পেকট্যাকল নয়, বরং চরিত্রগুলোর গভীর বিশ্লেষণ ও অনুভূতির সাথে যুক্ত একটি সিনেমা। দর্শকদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা হবে।”
২০২৪ সালের আগস্টে ডিজনির ডি ২৩ এক্সপোতে ক্যামেরন সিনেমার অফিসিয়াল টাইটেল ঘোষণা করেন এবং এর কনসেপ্ট আর্ট প্রদর্শন করেন। প্রকাশিত কনসেপ্ট আর্টে দেখা যায়, জো সালদানা অভিনীত নেইটি চরিত্রটি একটি ব্যানশিতে চড়ে এবং ‘অ্যাশ পিপল’ নামে নাভি জনগোষ্ঠীকে আগুনের চুলার চারপাশে ঘিরে থাকতে দেখা যায়।
এই সিনেমায় প্যান্ডোরার এমন কিছু অংশ দেখানো হবে, যা পূর্ববর্তী সিনেমাগুলোর দর্শকরা কখনো দেখেননি। নতুন এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন জো সালদানা, কেট উইন্সলেট, সিগর্নি ওয়েভার, স্টিফেন ল্যাংসহ আরও অনেকে।
এবার ‘অ্যাভাটার’ এর নতুন কিস্তি এক ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যাবে দর্শকদের, যেখানে অ্যাকশন, ভিজ্যুয়াল এবং চরিত্রের গভীরতা একসাথে মিলেমিশে তৈরি করবে এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।