হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার
ঢাকা উত্তরা পূর্ব থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
জুলাই মাসে উত্তরা এলাকায় ঘটে যাওয়া এক বিক্ষোভ-সহিংসতা ঘিরে যে হত্যাকাণ্ড ঘটে, সেটির জেরে এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তের অংশ হিসেবেই শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে গত ১২ মার্চ হাইকোর্টে করা এক জামিন আবেদনের রায়ে শমী কায়সার সাময়িক মুক্তি পান। ওইদিন বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর বেঞ্চ তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করেন।
শমীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং আনিসুল হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব ও জিসান হায়দার।
এর আগে নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হলে হাইকোর্টে যান এই অভিনেত্রী। ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন, তবে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করে বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে পাঠায়, যা পরবর্তীতে শুনানির পর হাইকোর্টে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়।
শমী কায়সারের ব্যক্তিগত পরিচিতিও কম আলোচিত নয়। ১৯৭০ সালে জন্ম নেয়া শমী বাংলাদেশের খ্যাতিমান সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সার ও লেখিকা-সাবেক সংসদ সদস্য পান্না কায়সারের কন্যা। তার মামা হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দুজা চৌধুরী, আর মামীর নাম মায়া পান্না যিনি পান্নার বোন। এই সূত্রে রাজনীতিবিদ মাহি বি চৌধুরীর সঙ্গে তার খালাতো ভাইবোনের সম্পর্ক।
সাময়িক জামিনে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় শোবিজ অঙ্গন এবং রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এই মামলার ভবিষ্যৎ গতি কোন দিকে মোড় নেবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।