শেয়ারবাজারে চাঙ্গাভাব, সূচকের ঊর্ধ্বগতির সাথে বেড়েছে লেনদেনে গতিও
দেশের প্রধান দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার লেনদেন শুরু হয়েছে বেশ চাঙ্গাভাব নিয়ে। দিনের শুরু থেকেই সূচকে ছিল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা, সঙ্গে ছিল লেনদেনেও ইতিবাচক গতি।
সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১৬ পয়েন্টে। একই সময়ে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১১৭০ পয়েন্টে, আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২৩ পয়েন্ট, যা অবস্থান করছে ১৯১৯ পয়েন্টে।
এই সময়ে মোট ৮৯ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট লেনদেন হয়েছে। মোট ৩৪৯টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪৮টির, কমেছে ৩৮টির, এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ার।
লেনদেনের শুরুতে সূচকের গতি ছিল বেশ তেজি। প্রথম ৫ মিনিটেই সূচক বেড়ে যায় ২২ পয়েন্ট। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে আরও ৩ পয়েন্ট যোগ হয়। ১০টা ২০ মিনিটে সূচক এক লাফে পৌঁছায় ৫ হাজার ২২১ পয়েন্টে, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৮ পয়েন্ট বেশি।
ডিএসইতে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে ছিল যেসব কোম্পানি—বেক্সিমকো ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন, বিএসসি, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্ট, জিকিউ বলপেন, শাইনপুকুর সিরামিক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রি, বিচ হ্যাচারি, উত্তরা ব্যাংক ও ফুওয়াং ফুড।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও দেখা গেছে সূচকের উল্লম্ফন। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে পৌঁছায় ১৪ হাজার ৫৭৬ পয়েন্টে। এ সময়ের মধ্যে লেনদেন হয় প্রায় ৫২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট।
সিএসইতে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কোম্পানির শেয়ারদর।
সপ্তাহের শুরুতেই বাজারে এমন ইতিবাচক প্রবণতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরলে ধীরে ধীরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে এবং বাজার আরও সক্রিয় হয়ে উঠবে।