রমজান ঘিরে লালমির বাম্পার ফলন, হাসি ফুটেছে ফরিদপুরের কৃষকের মুখে

- আপডেট সময় ১১:৫১:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
- / 23
রমজানকে সামনে রেখে ফরিদপুরে লালমির চাষে এসেছে বাম্পার ফলন। জেলার সদরপুরসহ বিভিন্ন উপজেলার মাঠজুড়ে এখন লালমির ব্যস্ত মৌসুম। চাহিদা ও দাম দুই-ই ভালো থাকায় কৃষকের মুখে ফিরেছে স্বস্তির হাসি। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর প্রায় ৪৫ কোটি টাকার লালমি বাণিজ্যের আশা করা হচ্ছে।
বাঙ্গির মতো দেখতে হলেও লালমি স্বাদে ও ঘ্রাণে আলাদা। পানি ও স্বাদে ভরপুর এই ফল রোজাদারদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। সরেজমিনে সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে দেখা যায়, নারী-পুরুষ সবাই মিলেই ক্ষেত থেকে লালমি তুলে ধুয়ে হাটে পাঠাচ্ছেন। এখানে সরাসরি কৃষক থেকে পাইকাররা লালমি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
কৃষক আবেদ আলী বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন দারুণ হয়েছে, দামও ভালো মিলছে। খরচ কিছুটা বেশি হলেও লাভ ভালোই হচ্ছে।’ আরেক চাষি ছলেমান শেখ বলেন, ‘চার মাসেই ফসল তোলা যায়, খরচ কম, লাভ বেশি—এজন্যই লালমির দিকে ঝুঁকছে সবাই।’
নারীদের অংশগ্রহণও উল্লেখযোগ্য। গৃহবধূ লাকি খাতুন বলেন, ‘লালমির মৌসুমে প্রতিদিন দুই-তিনশ টাকা রোজগার করি, সংসার চালাতে তা খুবই সাহায্য করে।’ চাষি শিউলি আক্তার বলেন, ‘বাবা অসুস্থ, তাই আমি নিজেই চাষ করি। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় লালমিই আমার ভরসা।’
চর দড়িকৃষ্ণপুর এলাকায় গড়ে উঠেছে জমজমাট লালমির হাট। ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম জানালেন, ‘প্রতিদিন এখানে চার লাখ টাকার লালমি বিক্রি হচ্ছে।’ রাসায়নিকমুক্ত হওয়ায় ফরিদপুরের লালমির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘লালমি চাষ কম খরচে লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এর আবাদ বাড়ছে। চাহিদা বেশি থাকায় ফরিদপুরের লালমি এখন দেশজুড়ে পৌঁছে যাচ্ছে।’