ঢাকা ০৯:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢেঁকি ছাঁটা চালের গুনাগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা দেশব্যাপী অগ্নিকাণ্ড: ২০২৪ সালে ২৬ হাজারের বেশি ঘটনা, ১৪০ জনের মৃত্যু  সাত কলেজ নিয়ে নতুন স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন: শিক্ষা উপদেষ্টার ঘোষণা  মোদি-ট্রাম্প ফোনালাপের পরও ভারতকে নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য রূপগঞ্জে পাইকারি আড়ত নিয়ে সংঘর্ষ, ৬ গুলিবিদ্ধসহ আহত ২৫ টাঙ্গাইলের শালবন পুনরুদ্ধারে মার্চ থেকে শুরু কার্যক্রম করবে সরকার  ইবতেদায়ি শিক্ষকদের জন্য সুখবর আনলো শিক্ষা মন্ত্রণালয় ডেনমার্কের আর্কটিক অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধির জন্য ২.০৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ ভিয়েতনাম থেকে ১ লক্ষ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত উত্তর গাজায় ফিরছে ৩ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি

লণ্ডভণ্ড জাতীয় সংসদ ভবন, পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৩০০ কোটি টাকা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

গণআন্দোলনের চাপে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর লুটপাট ও ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত জাতীয় সংসদ ভবন পুনরায় সচল করতে বিপুল সময় ও অর্থের প্রয়োজন। ভবন সংস্কারে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকার বেশি।

সংসদ ভবনের টেলিফোন ও আইটি নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপন, অধিবেশন কক্ষের সাউন্ড সিস্টেম মেরামত এবং বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন হবে আধুনিক সরঞ্জাম। এছাড়া দরজা-জানালাসহ ভবনের ভেতরে বিভিন্ন অফিসের মেরামত ও নতুন আসবাবপত্র কেনার কাজও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই বাজেটে।

সংসদ সচিবালয়ের একটি বৈঠকে জানানো হয়, ৫ আগস্ট হাজারো ছাত্র-জনতা ভবনের ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ কর্মকর্তাদের কক্ষ এবং ৯ তলা ভবনের বেশিরভাগ অংশই তছনছ করা হয়। লুটপাটকারীরা কম্পিউটার, এসি, আসবাবপত্র এমনকি বাথরুমের ছোট জিনিসপত্রও নিয়ে যায়।

ভবনটি সচল করতে এখনো প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব দেখা দিচ্ছে। উদ্ধারকৃত কিছু সামগ্রী থাকলেও সেগুলোর বেশিরভাগই ব্যবহারের অযোগ্য। ফলে সম্পূর্ণ নতুন সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র কিনতে হবে।

সংসদ সচিবালয়ের সূত্র জানায়, ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত অফিস ও বাসভবনগুলোর মেরামত ও কার্যক্রম চালু করতে তহবিল নিশ্চিত করা জরুরি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বরাদ্দ পাওয়া মাত্র সংস্কারকাজ দ্রুত শুরু করা হবে।

গত ৪ সেপ্টেম্বর এক বৈঠকে সংসদ ভবনের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। জানানো হয়, ভাঙচুর ও লুটপাটে সরকারি ও ব্যক্তিগত তহবিল মিলিয়ে প্রায় ৯০ লাখ টাকা লুট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মালপত্রের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে সংস্কার প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৩৮:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
৫২২ বার পড়া হয়েছে

লণ্ডভণ্ড জাতীয় সংসদ ভবন, পুনর্গঠনে প্রয়োজন ৩০০ কোটি টাকা

আপডেট সময় ১১:৩৮:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

 

গণআন্দোলনের চাপে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর লুটপাট ও ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত জাতীয় সংসদ ভবন পুনরায় সচল করতে বিপুল সময় ও অর্থের প্রয়োজন। ভবন সংস্কারে আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকার বেশি।

সংসদ ভবনের টেলিফোন ও আইটি নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপন, অধিবেশন কক্ষের সাউন্ড সিস্টেম মেরামত এবং বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন হবে আধুনিক সরঞ্জাম। এছাড়া দরজা-জানালাসহ ভবনের ভেতরে বিভিন্ন অফিসের মেরামত ও নতুন আসবাবপত্র কেনার কাজও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই বাজেটে।

সংসদ সচিবালয়ের একটি বৈঠকে জানানো হয়, ৫ আগস্ট হাজারো ছাত্র-জনতা ভবনের ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ কর্মকর্তাদের কক্ষ এবং ৯ তলা ভবনের বেশিরভাগ অংশই তছনছ করা হয়। লুটপাটকারীরা কম্পিউটার, এসি, আসবাবপত্র এমনকি বাথরুমের ছোট জিনিসপত্রও নিয়ে যায়।

ভবনটি সচল করতে এখনো প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব দেখা দিচ্ছে। উদ্ধারকৃত কিছু সামগ্রী থাকলেও সেগুলোর বেশিরভাগই ব্যবহারের অযোগ্য। ফলে সম্পূর্ণ নতুন সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র কিনতে হবে।

সংসদ সচিবালয়ের সূত্র জানায়, ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত অফিস ও বাসভবনগুলোর মেরামত ও কার্যক্রম চালু করতে তহবিল নিশ্চিত করা জরুরি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বরাদ্দ পাওয়া মাত্র সংস্কারকাজ দ্রুত শুরু করা হবে।

গত ৪ সেপ্টেম্বর এক বৈঠকে সংসদ ভবনের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। জানানো হয়, ভাঙচুর ও লুটপাটে সরকারি ও ব্যক্তিগত তহবিল মিলিয়ে প্রায় ৯০ লাখ টাকা লুট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মালপত্রের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে সংস্কার প্রক্রিয়াকে সহজতর করবে।