০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
শোকের ছায়া জাকসুতে সহকারী অধ্যাপকের মৃ-ত্যু প্রবাসী বাংলাদেশিদের অভ্যর্থনায় জাপানে এনসিপি নেতারা গ্রাফটিং টমেটো চাষে নতুন সম্ভাবনা, বাহুবলে কৃষকদের সফলতা বলসোনারোকে ২৭ বছরের সাজা দিল ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৫০ বিলিয়ন SAFE প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে তুরস্ক-দক্ষিণ কোরিয়াকে আমন্ত্রণ জানালো ইসরায়েলি হামলার ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়ে গেছে ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ভোট বানচালের ক্ষমতা কারও নেই: প্রেস সচিব রাকসু নির্বাচনে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে প্যানেল ঘোষণা জুলাই সনদের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচন হবে: তাহের জাকসু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা ছাত্রদলের

গ্রাফটিং টমেটো চাষে নতুন সম্ভাবনা, বাহুবলে কৃষকদের সফলতা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / 15

ছবি সংগৃহীত

 

 

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার রাঘপাশা গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটো চাষে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন তিনজন কৃষক। তারা হলেন—মো. রুহুল আমিন মানিক মিয়া, মো. হানিফ মিয়া এবং মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।

তারা ‘সবজি প্রদর্শনী (নন-ক্রিপার)’ ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫০ শতক জমিতে এই জাতের টমেটো চাষ করেন। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও প্রাকৃতিক পদ্ধতির সমন্বয়ে চাষ করা এই টমেটোর বাজারমূল্যও বেশ চমকপ্রদ—স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আর শহরের পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকায়।
টমেটো চাষে ব্যবহার করা হয়েছে মালচিং পেপার ও হলুদ ফাঁদ। এছাড়া, ক্ষতিকর রাসায়নিকের বদলে প্রয়োগ করা হয়েছে জৈব বালাইনাশক, যার ফলে ফলন হয়েছে নিরাপদ ও বিষমুক্ত।

কৃষকরা জানান, দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তারা মৌলভীবাজার থেকে প্রতি চারা ১০ টাকা দামে গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটোর চারা সংগ্রহ করেন। জুন মাসের শেষ দিকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার চারা রোপণ করার পর, জুলাইয়ের শেষ থেকে টমেটো বিক্রি শুরু করেন তারা।
প্রথম দফায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন তারা। আর বাকি ফলন থেকে আরও প্রায় ৫০ হাজার টাকার আয় হবে বলে আশা করছেন। ফলে তারা আগামী মৌসুমে আরও বড় পরিসরে এই টমেটোর চাষ করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন।

স্থানীয় কৃষকরাও এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে বারি-৮ জাতের টমেটো চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম জানান, রাঘপাশা গ্রামে প্রথমবারের মতো এই পদ্ধতিতে টমেটো চাষ শুরু করেন রুহুল আমিন মানিক মিয়া। তার সাফল্য দেখে আরও দুই কৃষক হানিফ মিয়া ও মোয়াজ্জেম হোসেন এতে যুক্ত হন এবং তারাও লাভবান হন।

তিনি বলেন, কাটিং পদ্ধতিতে গ্রাফটিং করলে গাছের শিকড় অনেক শক্ত হয়, ফলে অতিরিক্ত পানিতেও ক্ষতি হয় না। বাহুবল উপজেলায় এই জাতের টমেটো আগে তেমন একটা চাষ না হলেও, এখন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গ্রাফটিং টমেটো চাষে নতুন সম্ভাবনা, বাহুবলে কৃষকদের সফলতা

আপডেট সময় ১১:১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

 

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার রাঘপাশা গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা গ্রীষ্মকালীন গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটো চাষে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন তিনজন কৃষক। তারা হলেন—মো. রুহুল আমিন মানিক মিয়া, মো. হানিফ মিয়া এবং মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।

তারা ‘সবজি প্রদর্শনী (নন-ক্রিপার)’ ফ্রিপ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫০ শতক জমিতে এই জাতের টমেটো চাষ করেন। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও প্রাকৃতিক পদ্ধতির সমন্বয়ে চাষ করা এই টমেটোর বাজারমূল্যও বেশ চমকপ্রদ—স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আর শহরের পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকায়।
টমেটো চাষে ব্যবহার করা হয়েছে মালচিং পেপার ও হলুদ ফাঁদ। এছাড়া, ক্ষতিকর রাসায়নিকের বদলে প্রয়োগ করা হয়েছে জৈব বালাইনাশক, যার ফলে ফলন হয়েছে নিরাপদ ও বিষমুক্ত।

কৃষকরা জানান, দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীমের পরামর্শে তারা মৌলভীবাজার থেকে প্রতি চারা ১০ টাকা দামে গ্রাফটিং বারি-৮ জাতের টমেটোর চারা সংগ্রহ করেন। জুন মাসের শেষ দিকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার চারা রোপণ করার পর, জুলাইয়ের শেষ থেকে টমেটো বিক্রি শুরু করেন তারা।
প্রথম দফায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন তারা। আর বাকি ফলন থেকে আরও প্রায় ৫০ হাজার টাকার আয় হবে বলে আশা করছেন। ফলে তারা আগামী মৌসুমে আরও বড় পরিসরে এই টমেটোর চাষ করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন।

স্থানীয় কৃষকরাও এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রাফটিং পদ্ধতিতে বারি-৮ জাতের টমেটো চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম জানান, রাঘপাশা গ্রামে প্রথমবারের মতো এই পদ্ধতিতে টমেটো চাষ শুরু করেন রুহুল আমিন মানিক মিয়া। তার সাফল্য দেখে আরও দুই কৃষক হানিফ মিয়া ও মোয়াজ্জেম হোসেন এতে যুক্ত হন এবং তারাও লাভবান হন।

তিনি বলেন, কাটিং পদ্ধতিতে গ্রাফটিং করলে গাছের শিকড় অনেক শক্ত হয়, ফলে অতিরিক্ত পানিতেও ক্ষতি হয় না। বাহুবল উপজেলায় এই জাতের টমেটো আগে তেমন একটা চাষ না হলেও, এখন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।