বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়নের ঘরে, স্বস্তি রেমিট্যান্সেও

- আপডেট সময় ১২:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
- / 9
মে ও জুন মাসে আমদানি বিল পরিশোধে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু)-এর মাধ্যমে ২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৯ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল ৭ জুলাই। তবে খুব বেশি সময় লাগেনি এই ধাক্কা সামাল দিতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা পদক্ষেপে আবারও রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, রিজার্ভ আবার ৩০ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এর পেছনে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরাসরি ২২টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে দুই দফায় মোট ৪৮৪ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ এবং একইসঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ধারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, ডলারের দরপতন ঠেকাতে প্রথম দফায় ১৮টি ব্যাংক থেকে ১৭১ মিলিয়ন এবং দ্বিতীয় দফায় ২২টি ব্যাংক থেকে আরও ৩১৩ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়েছে। প্রতি ডলারের জন্য গড় রেট ছিল ১২১ টাকা ৫০ পয়সা।
তিনি আরও বলেন, “এই কেনা ডলার বিক্রি করা হবে না। বরং রিজার্ভ জোরদারে এগুলো সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় রিজার্ভে নতুন প্রাণ সঞ্চার হয়েছে।”
জানানো হয়েছে, চলতি জুলাই মাসের প্রথম ১৩ দিনেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ১৯৪ মিলিয়ন ডলার বা ১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে এ অঙ্ক ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ আশাবাদী।
বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলারে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “রেমিট্যান্স প্রবাহ যদি এমন ইতিবাচক থাকে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত ডলার কিনে রিজার্ভে জমা দেয়, তবে সময়ের সাথে সাথে আমরা আবারও পূর্বের ৪৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ অতিক্রম করতে পারবো।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদে রিজার্ভ ধরে রাখতে হলে রপ্তানি আয় বাড়ানোর পাশাপাশি প্রবাসী আয় অব্যাহত রাখতে হবে এবং ডলার ব্যবস্থাপনায় আরও বেশি কৌশলী হতে হবে।