অডিট রিপোর্টে মানের ঘাটতি, বিনিয়োগে আস্থার বাধা: অর্থ উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০২:৪৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
- / 6
অডিটরদের তৈরি অধিকাংশ নিরীক্ষা প্রতিবেদন মানসম্পন্ন নয় এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড অডিট সামিট’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হলে আমাদের হিসাব ও নিরীক্ষা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে হবে। বিনিয়োগকারীরা যাতে আর্থিক প্রতিবেদন দেখে আস্থা পান, সে পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।”
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দেশের অডিট ব্যবস্থা এখনো পূর্ণাঙ্গ পেশাদার মানে পৌঁছায়নি। আমরা যদি প্রকৃত অর্থে উন্নয়ন চাই, তাহলে অডিট ব্যবস্থাকে নির্ভরযোগ্য করে তুলতে হবে। হিসাবের স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কখনোই আগ্রহী হবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করছি না। দেশের বাস্তবতা ও প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়েই যৌক্তিক সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করা।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, “মানসম্মত আর্থিক প্রতিবেদন ছাড়া কোনো দেশের অর্থনীতি টেকসইভাবে উন্নয়ন করতে পারে না। নির্ভরযোগ্য হিসাব ও অডিট প্রতিবেদন উন্নয়ন পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিনিয়োগ, বাজেট পরিকল্পনা এবং নীতি নির্ধারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এটি অপরিহার্য।”
গভর্নর আরও বলেন, “বর্তমান সময়ে ব্যাংকিং খাত, বীমা ও পুঁজিবাজারে জবাবদিহিতা বাড়াতে হলে নিরীক্ষা মান উন্নয়ন ছাড়া বিকল্প নেই। এজন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে পেশাদারিত্ব ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি।”
সামিটে অংশগ্রহণকারী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পেশাদার অ্যাকাউন্ট্যান্টরা বলেন, হিসাব ও নিরীক্ষা খাতকে আধুনিকায়ন করা না গেলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে হবে। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা এখন উন্নয়নশীল দেশগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন খুব সতর্কভাবে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেন।
অনুষ্ঠানে সরকার, বেসরকারি খাত, উন্নয়ন সহযোগী এবং পেশাজীবীদের সমন্বয়ে একটি দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য হিসাব ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।