ঢাকা ০৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন

রিজার্ভে স্বস্তি: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 5

ছবি: সংগৃহীত

 

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘর পেরিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্দেশিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে এই রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। আর ব্যবহারযোগ্য বা নেট রিজার্ভ, যা বৈদেশিক দায় মেটাতে কাজে লাগানো সম্ভব, সেটি বর্তমানে ১৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রিজার্ভে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে কাজ করেছে একাধিক অর্থনৈতিক নির্দেশক। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পর প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৈধ পথে বেড়েছে, যা সরাসরি মুদ্রাবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি, ডলারের ঘাটতি কিছুটা কমে আসায় বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১০ মাসে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে, ফলে রিজার্ভ ধরে রাখতে তা সহায়ক হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় নতুন ঋণের অর্থও রিজার্ভে যুক্ত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান ও ওপেক ফান্ডসহ বিভিন্ন অংশীদারের কাছ থেকে চলতি জুন মাসেই প্রায় ৯০ কোটি ডলার ঋণ ছাড়ের সিদ্ধান্ত এসেছে। জুনের মধ্যেই আরও ২৪০ কোটি ডলার রিজার্ভে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের আশা, এই অর্থ যুক্ত হলে জুনের শেষে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছুঁতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ঋণ দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পসুদে হওয়ায় রিজার্ভের ওপর কোনো তাৎক্ষণিক চাপ তৈরি করবে না। বরং এই অর্থ ব্যবহার করা যাবে বাজেট বাস্তবায়ন, ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা এবং রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কারে।

এদিকে সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় ছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার, যেখানে চলতি অর্থবছরে ইতিমধ্যেই এসেছে ২৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার বেশি। এছাড়া রপ্তানি খাতেও ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে, যা সামগ্রিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বৈদেশিক ঋণ এবং রেমিট্যান্সের ইতিবাচক প্রবাহ বজায় থাকলে দেশের অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হবে এবং বৈদেশিক লেনদেনে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রিজার্ভে স্বস্তি: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় ০৪:৩৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘর পেরিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্দেশিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে এই রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। আর ব্যবহারযোগ্য বা নেট রিজার্ভ, যা বৈদেশিক দায় মেটাতে কাজে লাগানো সম্ভব, সেটি বর্তমানে ১৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রিজার্ভে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে কাজ করেছে একাধিক অর্থনৈতিক নির্দেশক। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পর প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৈধ পথে বেড়েছে, যা সরাসরি মুদ্রাবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি, ডলারের ঘাটতি কিছুটা কমে আসায় বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১০ মাসে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে, ফলে রিজার্ভ ধরে রাখতে তা সহায়ক হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় নতুন ঋণের অর্থও রিজার্ভে যুক্ত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান ও ওপেক ফান্ডসহ বিভিন্ন অংশীদারের কাছ থেকে চলতি জুন মাসেই প্রায় ৯০ কোটি ডলার ঋণ ছাড়ের সিদ্ধান্ত এসেছে। জুনের মধ্যেই আরও ২৪০ কোটি ডলার রিজার্ভে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের আশা, এই অর্থ যুক্ত হলে জুনের শেষে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছুঁতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ঋণ দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পসুদে হওয়ায় রিজার্ভের ওপর কোনো তাৎক্ষণিক চাপ তৈরি করবে না। বরং এই অর্থ ব্যবহার করা যাবে বাজেট বাস্তবায়ন, ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা এবং রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কারে।

এদিকে সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় ছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার, যেখানে চলতি অর্থবছরে ইতিমধ্যেই এসেছে ২৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার বেশি। এছাড়া রপ্তানি খাতেও ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে, যা সামগ্রিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বৈদেশিক ঋণ এবং রেমিট্যান্সের ইতিবাচক প্রবাহ বজায় থাকলে দেশের অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হবে এবং বৈদেশিক লেনদেনে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।