০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

রিজার্ভে স্বস্তি: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • / 43

ছবি: সংগৃহীত

 

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘর পেরিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্দেশিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে এই রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। আর ব্যবহারযোগ্য বা নেট রিজার্ভ, যা বৈদেশিক দায় মেটাতে কাজে লাগানো সম্ভব, সেটি বর্তমানে ১৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

রিজার্ভে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে কাজ করেছে একাধিক অর্থনৈতিক নির্দেশক। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পর প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৈধ পথে বেড়েছে, যা সরাসরি মুদ্রাবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি, ডলারের ঘাটতি কিছুটা কমে আসায় বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১০ মাসে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে, ফলে রিজার্ভ ধরে রাখতে তা সহায়ক হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় নতুন ঋণের অর্থও রিজার্ভে যুক্ত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান ও ওপেক ফান্ডসহ বিভিন্ন অংশীদারের কাছ থেকে চলতি জুন মাসেই প্রায় ৯০ কোটি ডলার ঋণ ছাড়ের সিদ্ধান্ত এসেছে। জুনের মধ্যেই আরও ২৪০ কোটি ডলার রিজার্ভে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের আশা, এই অর্থ যুক্ত হলে জুনের শেষে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছুঁতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ঋণ দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পসুদে হওয়ায় রিজার্ভের ওপর কোনো তাৎক্ষণিক চাপ তৈরি করবে না। বরং এই অর্থ ব্যবহার করা যাবে বাজেট বাস্তবায়ন, ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা এবং রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কারে।

এদিকে সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় ছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার, যেখানে চলতি অর্থবছরে ইতিমধ্যেই এসেছে ২৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার বেশি। এছাড়া রপ্তানি খাতেও ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে, যা সামগ্রিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বৈদেশিক ঋণ এবং রেমিট্যান্সের ইতিবাচক প্রবাহ বজায় থাকলে দেশের অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হবে এবং বৈদেশিক লেনদেনে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রিজার্ভে স্বস্তি: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার

আপডেট সময় ০৪:৩৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

 

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘর পেরিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্দেশিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে এই রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। আর ব্যবহারযোগ্য বা নেট রিজার্ভ, যা বৈদেশিক দায় মেটাতে কাজে লাগানো সম্ভব, সেটি বর্তমানে ১৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

রিজার্ভে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে কাজ করেছে একাধিক অর্থনৈতিক নির্দেশক। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পর প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৈধ পথে বেড়েছে, যা সরাসরি মুদ্রাবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি, ডলারের ঘাটতি কিছুটা কমে আসায় বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১০ মাসে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে, ফলে রিজার্ভ ধরে রাখতে তা সহায়ক হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় নতুন ঋণের অর্থও রিজার্ভে যুক্ত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান ও ওপেক ফান্ডসহ বিভিন্ন অংশীদারের কাছ থেকে চলতি জুন মাসেই প্রায় ৯০ কোটি ডলার ঋণ ছাড়ের সিদ্ধান্ত এসেছে। জুনের মধ্যেই আরও ২৪০ কোটি ডলার রিজার্ভে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের আশা, এই অর্থ যুক্ত হলে জুনের শেষে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছুঁতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব ঋণ দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পসুদে হওয়ায় রিজার্ভের ওপর কোনো তাৎক্ষণিক চাপ তৈরি করবে না। বরং এই অর্থ ব্যবহার করা যাবে বাজেট বাস্তবায়ন, ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা এবং রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কারে।

এদিকে সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবাসী আয় ছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার, যেখানে চলতি অর্থবছরে ইতিমধ্যেই এসেছে ২৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার বেশি। এছাড়া রপ্তানি খাতেও ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এসেছে, যা সামগ্রিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বৈদেশিক ঋণ এবং রেমিট্যান্সের ইতিবাচক প্রবাহ বজায় থাকলে দেশের অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হবে এবং বৈদেশিক লেনদেনে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।