ঢাকা ০৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাজেটে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন নেই: ফরহাদ মজহার পঞ্চগড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৮০ হাজার জাল ডলারসহ ৬ জন আটক গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৪৮ জন, মৃত্যু নেই মেসির জার্সি বিক্রিতে রেকর্ড, তালিকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাভানও ব্যাংক খাতে লুটপাট ঘটলেও আইনের সীমাবদ্ধতায় তা প্রকাশ হয়নি: আইসিএবির সাবেক সভাপতি নারায়ণগঞ্জে ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করলো বাবা-মা নতুন ৩ জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) দলে নারী নেতৃত্ব বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে : এনসিপি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান যুক্ত হচ্ছে: নির্বাচন কমিশনার ৫ আগস্ট হবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান দিবস, ঘোষণা সরকারি ছুটির: উপদেষ্টা ফারুকী

দূষণ রোধ ও গ্যাস সরবরাহে ৬৪ কোটি ডলারের সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

দূষণ রোধ এবং গ্যাস সরবরাহ উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৬৪ কোটি ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বাজারদরে টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়। এই অর্থ দুইটি আলাদা প্রকল্পে ব্যয় হবে—এর মধ্যে জ্বালানি খাত নিরাপত্তা জোরদারে ৩৫ কোটি ডলার এবং বায়ুমান উন্নয়নে ২৯ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, “বাংলাদেশের জন্য জ্বালানিনিরাপত্তা ও বায়ুমান উন্নয়ন এখন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন অগ্রাধিকার। শহরাঞ্চলে বায়ুদূষণ এবং গ্যাস সরবরাহ সংকট চিহ্নিত করে এর সমাধানে এ দুটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, এসব প্রকল্প দেশের উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান এবং সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

জ্বালানি খাত নিরাপত্তা জোরদার প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে পেট্রোবাংলা। প্রকল্পটির আওতায় এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি ও বিতরণ সহজতর করা হবে, যার মাধ্যমে দেশে গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়বে।

অন্যদিকে, বায়ুমান উন্নয়ন প্রকল্পের লক্ষ্য শহরাঞ্চলের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৯ সালে বায়ুদূষণের কারণে দেশে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১ লাখ ৫৯ হাজার মানুষের। শুধু স্বাস্থ্য খাতে এ দূষণের অর্থনৈতিক ক্ষতি দেশের মোট জিডিপির ৮ দশমিক ৩ শতাংশের সমান।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর থেকে সংস্থাটি বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত সংস্থাটি বাংলাদেশকে ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বেশি অনুদান ও ঋণ সহায়তা দিয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের এই নতুন অর্থায়ন দেশের জ্বালানি ও পরিবেশ খাতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দূষণ রোধ ও গ্যাস সরবরাহে ৬৪ কোটি ডলারের সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

আপডেট সময় ০৩:০১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

 

দূষণ রোধ এবং গ্যাস সরবরাহ উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৬৪ কোটি ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বাজারদরে টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়। এই অর্থ দুইটি আলাদা প্রকল্পে ব্যয় হবে—এর মধ্যে জ্বালানি খাত নিরাপত্তা জোরদারে ৩৫ কোটি ডলার এবং বায়ুমান উন্নয়নে ২৯ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, “বাংলাদেশের জন্য জ্বালানিনিরাপত্তা ও বায়ুমান উন্নয়ন এখন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন অগ্রাধিকার। শহরাঞ্চলে বায়ুদূষণ এবং গ্যাস সরবরাহ সংকট চিহ্নিত করে এর সমাধানে এ দুটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, এসব প্রকল্প দেশের উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান এবং সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

জ্বালানি খাত নিরাপত্তা জোরদার প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে পেট্রোবাংলা। প্রকল্পটির আওতায় এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানি ও বিতরণ সহজতর করা হবে, যার মাধ্যমে দেশে গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়বে।

অন্যদিকে, বায়ুমান উন্নয়ন প্রকল্পের লক্ষ্য শহরাঞ্চলের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৯ সালে বায়ুদূষণের কারণে দেশে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১ লাখ ৫৯ হাজার মানুষের। শুধু স্বাস্থ্য খাতে এ দূষণের অর্থনৈতিক ক্ষতি দেশের মোট জিডিপির ৮ দশমিক ৩ শতাংশের সমান।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর থেকে সংস্থাটি বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত সংস্থাটি বাংলাদেশকে ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বেশি অনুদান ও ঋণ সহায়তা দিয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের এই নতুন অর্থায়ন দেশের জ্বালানি ও পরিবেশ খাতে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।