বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলারের সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

- আপডেট সময় ০৪:৩৪:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
- / 6
বাংলাদেশে সরকারি খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২৫ কোটি ডলার) ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। শনিবার (১৪ জুন) সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
‘স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশনস ফর ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি (সিটার)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই অর্থায়ন অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড। প্রকল্পটি সরকারের চলমান সংস্কার কর্মসূচিকে সহায়তা করবে, বিশেষ করে পরিসংখ্যান, রাজস্ব আহরণ, সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা, ক্রয় প্রক্রিয়া এবং আর্থিক তদারকির খাতগুলোতে।
প্রকল্পটি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), পরিকল্পনা বিভাগ, বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) এবং মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়সহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা উন্নয়নে কাজ করবে।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, “এই বিনিয়োগ সরকারের ডিজিটাল রূপান্তরকে উৎসাহিত করবে, যা স্বচ্ছতা বাড়াবে, দুর্নীতির ঝুঁকি কমাবে এবং সরকারি পরিষেবার মান ও জনগণের প্রবেশাধিকার উন্নত করবে।”
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা আরও সুসংহত হবে।
সিটার প্রকল্পের আওতায় ট্যাক্স ব্যবস্থাপনা আধুনিকীকরণ, স্বতঃস্ফূর্ত ট্যাক্স আদায়ে নাগরিকদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়িয়ে আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনের পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রোকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের দ্বিতীয় প্রজন্ম চালু, সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অডিট ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তরও প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বিশ্বব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে আরও একটি উন্নয়ন নীতিভিত্তিক ঋণ (ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট) প্রস্তুত করছে, যা এ মাসের শেষ দিকে বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হবে। এটি স্বচ্ছতা, রাজস্ব, ব্যাংক খাত, তথ্য ব্যবস্থাপনা, সরকারি বিনিয়োগ ও সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। সিটার প্রকল্প এই বৃহৎ উদ্যোগের পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পটির টিম লিডার সুলেমান কুলিবালি বলেন, “এই প্রকল্প সরকারের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।”