ঢাকা ১২:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন চলছে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গণমাধ্যমের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শুরু হয়েছে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত রয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।

অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) মূল বাজেটের তুলনায় এটি ৭ হাজার কোটি টাকা কম। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এটি একটি বাস্তববাদী ও রক্ষণশীল বাজেট। রাজস্ব আদায়ের সক্ষমতা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাব বিবেচনায় রেখে ব্যয় কমানো হয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, বিপর্যস্ত আর্থিক খাত সংস্কার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা এবং রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিই আগামী অর্থবছরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”

তিনি জানান, রাজস্ব আহরণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বাস্তবায়নযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, “কর কাঠামো সহজীকরণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে কর আদায় এবং করজালের আওতা বৃদ্ধিতে এবার জোর দেওয়া হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর নীতি অনুসরণ করবে। ঋণ পুনঃতফসিলের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের মনোযোগ রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ সময়োপযোগী।”

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, “জ্বালানি খাতে ভর্তুকি পুনর্মূল্যায়ন করে সাশ্রয়ী ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”

বাজেটের আকার: ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা: স্থিতিশীল ও সংযমী, রাজস্ব আদায়ের প্রতি জোর, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যাংক খাত সংস্কারকে প্রাধান্য, আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্রিয় ভূমিকা।

এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাজেট বাস্তবায়নের নীতি, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিষয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন চলছে

আপডেট সময় ০৪:৪০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

 

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে গণমাধ্যমের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শুরু হয়েছে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া এই সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত রয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।

অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) মূল বাজেটের তুলনায় এটি ৭ হাজার কোটি টাকা কম। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “এটি একটি বাস্তববাদী ও রক্ষণশীল বাজেট। রাজস্ব আদায়ের সক্ষমতা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাব বিবেচনায় রেখে ব্যয় কমানো হয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, বিপর্যস্ত আর্থিক খাত সংস্কার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা এবং রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিই আগামী অর্থবছরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”

তিনি জানান, রাজস্ব আহরণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বাস্তবায়নযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, “কর কাঠামো সহজীকরণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে কর আদায় এবং করজালের আওতা বৃদ্ধিতে এবার জোর দেওয়া হবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর নীতি অনুসরণ করবে। ঋণ পুনঃতফসিলের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের মনোযোগ রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ সময়োপযোগী।”

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, “জ্বালানি খাতে ভর্তুকি পুনর্মূল্যায়ন করে সাশ্রয়ী ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”

বাজেটের আকার: ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা: স্থিতিশীল ও সংযমী, রাজস্ব আদায়ের প্রতি জোর, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যাংক খাত সংস্কারকে প্রাধান্য, আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সক্রিয় ভূমিকা।

এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাজেট বাস্তবায়নের নীতি, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিষয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।