ঢাকা ০৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মেসির জার্সি বিক্রিতে রেকর্ড, তালিকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাভানও ব্যাংক খাতে লুটপাট ঘটলেও আইনের সীমাবদ্ধতায় তা প্রকাশ হয়নি: আইসিএবির সাবেক সভাপতি নারায়ণগঞ্জে ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করলো বাবা-মা নতুন ৩ জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) দলে নারী নেতৃত্ব বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে : এনসিপি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান যুক্ত হচ্ছে: নির্বাচন কমিশনার ৫ আগস্ট হবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান দিবস, ঘোষণা সরকারি ছুটির: উপদেষ্টা ফারুকী মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশিসহ ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু ইরানে হামলার অনুমোদন ট্রাম্পের, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য রাজস্থলীতে ৫০টি গ্রাম বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক থেকে বঞ্চিত

গভীর সমুদ্রবন্দর ও কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের ৮৫ কোটি ডলারের সহায়তা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 36

ছবি: সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় এক নতুন মাইলফলক হিসেবে বিশ্বব্যাংক ৮৫ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। এই অর্থে চট্টগ্রামে একটি আধুনিক গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ এবং দেশের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে গতকাল দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ বে টার্মিনাল প্রকল্পের আওতায় ৬৫ কোটি ডলার ব্যয়ে বন্দরের সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নত করা হবে। এতে দেশের রপ্তানি সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে এবং বন্দর ব্যবস্থাপনায় গতি আসবে। প্রকল্পে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ জলবায়ু-সহিষ্ণু ঢেউনিরোধক এবং আধুনিক প্রবেশপথ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপিত হলে বড় জাহাজ সহজেই ভিড়তে পারবে, যা বন্দরের কার্যক্রমে সময় ও খরচ সাশ্রয়ে সহায়ক হবে। এতে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ডলার সাশ্রয় সম্ভব হবে।

এই বন্দরে দেশের মোট কনটেইনার চলাচলের ৩৬ শতাংশ পরিচালিত হবে এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। ব্যবসায়ীদের জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

অন্যদিকে, ২০ কোটি ডলার ব্যয়ে দেশের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এতে ৪৫ লাখ মানুষকে নগদ সহায়তার পাশাপাশি তাদের জীবিকা উন্নয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। বিশেষ করে তরুণ, নারী, প্রতিবন্ধী এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে এই সহায়তা দেওয়া হবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে, যাতে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ কর্মজীবনে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশবিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, “প্রতিবছর ২০ লাখ তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। তাঁদের জন্য শোভন কর্মসংস্থান তৈরি করাই এখন সবচেয়ে জরুরি। এই প্রকল্পগুলো বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।”

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, “বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব রয়েছে। এই প্রকল্পগুলো দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শাহরিয়ার সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে গেইল মার্টিন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।

নিউজটি শেয়ার করুন

গভীর সমুদ্রবন্দর ও কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের ৮৫ কোটি ডলারের সহায়তা

আপডেট সময় ১২:১১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় এক নতুন মাইলফলক হিসেবে বিশ্বব্যাংক ৮৫ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। এই অর্থে চট্টগ্রামে একটি আধুনিক গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ এবং দেশের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে গতকাল দুটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ বে টার্মিনাল প্রকল্পের আওতায় ৬৫ কোটি ডলার ব্যয়ে বন্দরের সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নত করা হবে। এতে দেশের রপ্তানি সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে এবং বন্দর ব্যবস্থাপনায় গতি আসবে। প্রকল্পে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ জলবায়ু-সহিষ্ণু ঢেউনিরোধক এবং আধুনিক প্রবেশপথ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপিত হলে বড় জাহাজ সহজেই ভিড়তে পারবে, যা বন্দরের কার্যক্রমে সময় ও খরচ সাশ্রয়ে সহায়ক হবে। এতে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ডলার সাশ্রয় সম্ভব হবে।

এই বন্দরে দেশের মোট কনটেইনার চলাচলের ৩৬ শতাংশ পরিচালিত হবে এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। ব্যবসায়ীদের জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

অন্যদিকে, ২০ কোটি ডলার ব্যয়ে দেশের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এতে ৪৫ লাখ মানুষকে নগদ সহায়তার পাশাপাশি তাদের জীবিকা উন্নয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। বিশেষ করে তরুণ, নারী, প্রতিবন্ধী এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে এই সহায়তা দেওয়া হবে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে, যাতে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ কর্মজীবনে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশবিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, “প্রতিবছর ২০ লাখ তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। তাঁদের জন্য শোভন কর্মসংস্থান তৈরি করাই এখন সবচেয়ে জরুরি। এই প্রকল্পগুলো বাংলাদেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।”

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার সিদ্দিকী বলেন, “বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব রয়েছে। এই প্রকল্পগুলো দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন শাহরিয়ার সিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে গেইল মার্টিন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।